চিত্রনায়িকা পরীমণি ঢাকা বোট ক্লাবে ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগ এনেছেন নাসির উদ্দিন মাহমুদের বিরুদ্ধে। কিন্তু সেই রাতে তিনি কেনো সেখানে গিয়েছিলেন, বিষয়টি সোমবার পরিষ্কার করে বলেছেন এ চিত্রনায়িকা।
পরীমণির দায়ের করা মামলায় সোমবার গ্রেফতার করা হয়ে মামলার প্রধান আসামি নাসির ইউ মাহমুদ ও অমিসহ ৫ জন। তাদের গ্রেফতারের পরেই রাতে বনানীর বাসায় সংবাদ সম্মেলন করেন ঢাকাই ছবির নায়িকা পরীমণি।
ওখানে কেন গিয়েছেন পরীমণিকে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ওখানে আমরা যাইনি। যাওয়ার পরেও আমরা জানি না ওটা বোট ক্লাব। আমাদের সঙ্গে থাকা ছোট বোনটার আম্মু অসুস্থ। আমরা বনানীতে গাড়ি থামিয়ে ওষুধও কিনেছি। আমরা উত্তরাতে যাব। যেহেতু অমি ভাইয়া আমাদের সঙ্গে ছিল, তিনি বলেছে আমার দুই মিনিটের কাজ আছে।
তিনি বলেন, জিমিকে বারবার রিকোয়েস্ট করতে ছিল। বলল, এখন তো রাস্তা ফাঁকা। বেশিক্ষণ লাগবে না। জাস্ট দুই মিনিটের ব্যাপার একটু টাইম দে। সেখানে গিয়ে প্রথমে সে নামার জন্য বলে নাই। সেখানে সিকিউরিটি তাকেই ঢুকতে দিচ্ছিল না। কাকে যেন ফোন দিয়েছিল, তখন রাত ১২টা অনেক রাত। তখন ওই লোকটা আসল যার সঙ্গে তার কাজ ছিল।
পরীমণি বলেন, আমরা তারা দিচ্ছিলাম। আমার সঙ্গে যে মেয়েটা ছিল তার তাড়া ছিল। তার বাথরুমে ধরেছিল। অমি ভাইয়া বলেছিল এখানে সমস্যা নেই ওয়াশরুমে যেতে পার। তখন বেনজির ভাইয়ের নাম বলল। ওয়াশ রুমে তো যেতেই পারি। তখন তার (অমি) বড় ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলছিল। ওখানে আমরা বসছি। ওখানে মদ খেতে ছিল। ওখান থেকেই এসে বলল ও পরীমনি তুমি আসছ। তখনই বুঝতে পেরেই আসলে তিনি ওভার ড্রাংক। আমি তাকে দাদা বলে সালাম দিয়েছে। উনি বলল বসো বসো কোনো সমস্যা নেই, বাচ্ছা মেয়ে।
চলচ্চিত্রের নায়িকা পরীমণিকে ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টা মামলায় ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদকে সোমবার গ্রেফতার করা হয়েছে। উত্তরার একটি বহুতল ভবনের ফ্ল্যাট থেকে নাসির ও অমিসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় নাসিরের সঙ্গে থাকা অল্পবয়সী তিন নারীকেও গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে অমির গার্লফ্রেন্ড স্নিগ্ধা ও নাসিরের সঙ্গী লিপি ও সুমি রয়েছেন। গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান পরিচালনার সয়ম ফ্ল্যাট থেকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিদেশি মদ-বিয়ার ও এক হাজার পিচ ইয়াবা উদ্ধার করে।
এর আগে পরীমণিকে ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার ঘটনাটি কারও নাম উল্লেখ না করে ফেসবুকে এক দীর্ঘ স্ট্যাটাস দেন তিনি। সেখানে এই ঘটনার বিচার চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে। এর পরের দিন রোববার তিনি বনানীর বাসায় সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সেখানে ঢাকা বোট ক্লাবের নির্বাহী সদস্য ও ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদের নাম উল্লেখ করেন।
ঢাকা বোট ক্লাবের আলোচিত ঘটনায় নির্বাহী সদস্যের পদ থেকে নাসির উদ্দিন মাহমুদকে বহিষ্কার করা হয়েছে।