বিশ্বকাপ জুড়ে দাপটের সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচ জয়ে অপ্রতিরোধ্য ভারত ফাইনালে পেয়েছিল পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে। টানা দশ জয়ে ফাইনালে আসা দলটি ঘরের মাঠে আহমেদাবাদে ১ লক্ষ ৩২ হাজার সমর্থকদের সামনে বিশ্বকাপ জয়ের হুংকার দিয়েছিল। তবে ক্রিকেট বিশ্বের সকল বিশ্লেষক থেকে ধরে ভক্তদের শিরোপা জয়ের ‘ফেবারিট’ তকমা পাওয়া ভারতকে নিজেদের জাত চিনিয়ে টারভিস হেডের শতকে ৭ উইকেটের জয়ে বিশ্বকাপের শিরোপা জিতল অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বকাপের পুরো আসরে একটি ম্যাচ না হারা ভারত ফাইনাল হারার পর চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। ঠিক কি কারণে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপের ফাইনাল হারল ভারত?
আহমেদাবাদে বিশ্বমঞ্চের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে প্রথমেই টস ভাগ্যে হেরে যায় ভারত। তবে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উড়ন্ত সূচনা পায় স্বাগতিকরা। ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে অধিনায়ক রোহিত শর্মার আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দ্রুত রান তুলতে থাকে ম্যান ইন ব্লুরা।
পাওয়ার প্লের শেষে ওভারে রোহিত শর্মা ৩১ বলে ৪৭ রান করে ফিরে গেলে রানের চাকা থমকে যায় স্বাগতিকদের। প্রথম দশ ওভারে মোট ১২টি বাউন্ডারি হাকায় ভারত। এরপর ১১তম ওভার থেকে ৯৭ বল পর্যন্ত একটি বাউন্ডারিও মারতে পারেনি কোহলি-রাহুল জুটি।
মূলত সেখানেই রানের গতি বাড়াতে ব্যর্থ হয় ভারত। তার মধ্যে প্রতি ওভারে দুইটির উপর ডট বল খেলছিল এই জুটি। নিজের অর্ধশতক পূরণের পর বিরাট কোহলি ফিরে গেলে আরো বিপাকে পড়ে টিম ইন্ডিয়া।
অজি বোলাররা নিয়মিত ডট বল দিয়ে ভারতীয় ব্যাটারদের উপর চাপ বাড়িয়ে যাচ্ছিল। যার পুরস্কার হিসেবে অস্ট্রেলিয়া ফাইনালের মঞ্চে রোহিতদের ২৪০ রানে থামাতে সক্ষম হয়। ভারতের ব্যাটিং ব্যর্থতার অন্যতম কারণ প্রথম দশ ওভার পর ১১-৫০ ওভারে মাত্র ৪টি বাউন্ডারি ও তাদের ১৩০+ ডট বল। এখানেই বড় রান করতে ব্যর্থ হয় তারা। ছোট সংগ্রহে এক ইনিংস পরই এক প্রকার ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় স্বাগতিকরা। অপরদিকে বোলিংয়ে ৪৭ রানে ৩ উইকেট তুলে নিয়েও মিডেল ওভারে বোলারদের ব্যর্থতায় ম্যাচ হাতছাড়া হয় ভারতের।
ঘরের মাঠে এক যুগ পর বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ হারাল কোহলি-রোহিতরা। আর তাতেই বিশ্বকাপের ইতিহাসে ষষ্ঠবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হলো অস্ট্রেলিয়া।