জিমেইল বা আউটলুকের মতো জনপ্রিয় ইমেইল সার্ভিস ব্যবহারের ক্ষেত্রে খুবই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে এসব মাধ্যমে গ্রাহকদের টার্গেট করে হ্যাকাররা। বিভিন্ন ডিলস ও অফারের নাম করে গ্রাহকের কাছে বিভিন্ন ইমেইল পাঠানো হয়। সেই ইমেইলে থাকে বিভিন্ন লিংক, যেখানে ক্লিক করলেই আপনার সব জমানো অর্থ খোয়া যেতে পারে। ভুয়া লিংকে কুপন কোড, গিফট ভাউচারসহ বিভিন্ন লোভনীয় অফারে গ্রাহককে প্রলুব্ধ করে গ্রাহকদের ফাঁদে ফেলে হ্যাকাররা।
হ্যাকিংয়ের কৌশল
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই সময়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, জিমেইল বা আউটলুক ব্যবহারকারীরা এমন কিছু ইমেইল পাচ্ছেন, যেগুলোর মাধ্যমে তারা প্রলুব্ধ হচ্ছেন। এই ইমেইলতে উপহার কার্ড বলে দাবি করা হচ্ছে এবং সঙ্গে একটি লিংকও সংযুক্ত করা থাকছে, যেখানে ক্লিক করতে বলা হয়। সেই লিংকে ক্লিক করে আপনাকে একটি ওয়েবসাইটে নিয়ে যাওয়া হবে। লিংকটিতে দাবি করা হয় যে, ব্যবহারকারীরা অ্যামাজন ও ফ্লিপকার্ট থেকে উপহার কুপন পেয়েছেন। জানা থাকা ভালো, এমন কোনো কুপন গ্রাহকদের কাছে পাঠায় না অ্যামাজন ও ফ্লিপকার্ট। তাই এগুলো সম্পূর্ণভাবে ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার একটি উপায়।
ইমেইলে যেভাবে চলে প্রতারণা
সম্প্রতি একটি রিপোর্টে জানা যায়, ইমেইলে পাওয়া লিংকে ক্লিক করলে আপনার সামনে একটি নতুন ওয়েবসাইট খুলে যাবে। এরপর আপনাকে উপহার কার্ড দাবি করার জন্যও একটি সার্ভেতে অংশ নিতে বলা হবে। এ ধরনের বিভিন্ন আকর্ষণীয় অফারের ইমেইলে ক্লিক করার আগেই সতর্ক হয়ে যান। কারণ এমন অফার আসলে প্রতারণা এবং আপনি এখানে কোনো উপহারও পাবেন না। বরং আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের যাবতীয় তথ্য হ্যাক করা হতে পারে। এমন ইমেইলে দেওয়া লিংকে ক্লিক করার আগে একবার ঠিকভাবে চেক করে নিন।
যা করবেন না
- গিফট কার্ডের উল্লেখ করে লিংক দেওয়া কোনো ইমেইল এলে সেই লিংকে ভুলেও ক্লিক করবেন না।
- ভুলবশত লিংকে ক্লিক করলেও কোনোভাবেই আপনার ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করবেন না।
- ভুয়া ইমেইলে হ্যাকাররা আসলে গ্রাহকের কাছ থেকে ব্যাংকের যাবতীয় তথ্য চেয়ে থাকেন। সেখানে সিভিভি কোড, কার্ড নম্বর, ওটিপি অন্তর্ভুক্ত করা থাকে। এমন কোনো বিবরণ কারও সঙ্গে শেয়ার করা উচিত নয়।
- আপনার ইমেইল আইডি এবং পাসওয়ার্ড কখনই কারও সঙ্গে শেয়ার করবেন না। কারণ, তাতে হ্যাকিংয়ের ঝুঁকি ব্যাপকভাবে বাড়তে পারে।