ওয়ানডে বিশ্বকাপ যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই উন্মাদনায় ভাসছেন ক্রিকেটভক্তরা। অগ্রিম হোটেল ও বিমানের টিকিট বুকিং করে রাখছেন অনেকে। এমনকি স্থানীয় হোটেলে জায়গা না পেয়ে কেউ কেউ শর্তসাপেক্ষে হাসপাতালেও বুকিং করছেন। তবে এখন পর্যন্ত ম্যাচের টিকিট না ছাড়ায় হতাশ দর্শকরা। দুদিন আগে বিশ্বকাপের কয়েক ম্যাচের সূচি বদল এবং ই-টিকিট না থাকার কথা জানিয়েছিলেন বিসিসিআই সচিব জয় শাহ।
তবে টিকিট ছাড়ার বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো ধারণা করছে আগামী ১০ আগস্ট থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হবে। তবে সেসব টিকিট নিতে হবে সরাসরি গিয়ে। অনলাইনে কেউ টিকিট কাটলেও পরবর্তীতে নির্দিষ্ট কাউন্টার থেকেই ছাপার টিকিট সংগ্রহ করতে হবে।
ভারতের যে কোনো স্টেডিয়ামে ম্যাচ দেখতে হলে ফিজিক্যাল টিকিট থাকা বাধ্যতামূলক। কেউ অনলাইনে টিকিট বুক করলেও, স্টেডিয়ামে ঢুকতে হলে সরাসরি গিয়ে টিকিট সংগ্রহ করতে হয়। এরপরই প্রবেশ করা যায় স্টেডিয়ামে। এতে ভক্তদের অনেক সমস্যায় পড়তে হয় এবং ঘণ্টার পর ঘণ্টাও দাঁড়িয়ে থাকতে হয় লাইনে। সে কারণেই দর্শকদের মধ্যে ই-টিকেটের চাহিদা বেশি।
এর আগে বিশ্বকাপের জন্য কেন ই-টিকিটের ব্যবস্থা থাকবে না, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন জয় শাহ, ‘এই মুহূর্তে আমরা ই-টিকিটের ব্যবস্থা করতে পারছি না, প্রথমে আমরা দ্বিপাক্ষিক সিরিজে এটি বাস্তবায়ন করব। তার পরই বড় ইভেন্টের দিকে এগিয়ে যাব। তবে ৭-৮টি কেন্দ্রে আগে থেকেই ফিজিক্যাল টিকিট রিডেম্পশন নিশ্চিত করব। কিন্তু ফিজিক্যাল টিকিট আগে থেকে ধরে রাখতে হবে।’
আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে আগামী ৫ অক্টোবর পর্দা উঠবে ওয়ানডে বিশ্বকাপের। ম্যাচটিতে মুখোমুখি হবে আগের আসরের দুই ফাইনালিস্ট ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড। এবারের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ১৯ নভেম্বর। গত জুনের শেষদিকে আইসিসি বিশ্বকাপের পূর্ণাঙ্গ সূচি প্রকাশ করেছিল। যেখানে প্রথম রাউন্ডের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ম্যাচে ১৫ অক্টোবর মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তানের। কিন্তু একইদিন গুজরাটে নবরাত্রি উৎসবের কারণে সেই ম্যাচের সূচিতে পরিবর্তনের কথা জানা যায়।
পরবর্তীতে আরও কয়েকটি ম্যাচের সূচিও বদলের কথা জানিয়েছে বিসিসিআই। ১৫ অক্টোবর গুজরাটে শুরু হবে ‘নবরাত্রি’ উৎসব, যা কয়েকদিন ব্যাপী চলবে। এই উৎসব চলাকালে রাতব্যাপী গরবা নৃত্যের আয়োজন করা হয় সর্বোচ্চ দর্শকধারী স্টেডিয়ামের শহরটিতে। ফলে উৎসবে উপস্থিত মানুষ এবং খেলা দেখতে যাওয়া ব্যাপক লোকসমাগম নিরাপত্তায় বিঘ্ন সৃষ্টি করতে পারে বলে বিসিসিআইকে সূচি পরিবর্তনের অনুরোধ জানানো হয়। এছাড়া কয়েকটি দেশ তাদের সূচি নিয়ে আপত্তি জানানোয় সেসব ম্যাচের সূচিতে পরিবর্তন আনতে পারে আইসিসি।