ফেসবুক স্ট্যাটাসে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ। সপ্তাহ খানেক আগে থেকেই প্রসেস করে সব ফরমালিটি শেষ করে এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে।’
আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, ‘গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ এবং তার সহযোগী সংগঠনগুলোর নিষিদ্ধ এবং রাজনৈতিকভাবে নিশ্চিহ্নকরণ নিশ্চিত করাই জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অঙ্গীকার।’
আসিফ মাহমুদের ফেসবুক স্ট্যাটাসের প্রতিক্রিয়ায় যুবলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগ নিষিদ্ধের আশ্বাসকে ‘প্রহসন’ বলে পাল্টা স্ট্যাটাস দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নিষিদ্ধ করার প্রহসন মেনে নেওয়া হবে না।’
হাসনাত আবদুল্লাহ আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী ও ফ্যাসিস্ট সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করতে হবে। আইসিটিতে দল হিসেবে বিচার করার বিধান যুক্ত করতে হবে।’
অন্য এক স্ট্যাটাসে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত কোনো আশ্বাসে কাজ হবে না। লড়াই চলবে।’

পরবর্তীতে আরেকটি স্ট্যাটাস দেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
স্ট্যাটাসে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘যুবলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত কিছুদিন আগেই হয়েছে। এটা আন্দোলন দমনের কোনো প্রক্রিয়া নয়। বরং আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পথেই আরেক ধাপ এগিয়ে যাওয়া।’
আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, গণহত্যাকারী রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। গণহত্যাকারীদের বিচার নিশ্চিত করা এবং আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে নিষিদ্ধ ও নিশ্চিহ্ন করাই জুলাইয়ের অঙ্গীকার। জুলাই ঐক্যবদ্ধ হোক।’

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ও দলটির বিচারের বিষয়ে সুস্পষ্ট রোডম্যাপ (পথনকশা) ঘোষণার দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে ছাত্র-জনতা। বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত ১০টার পর জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর নেতৃত্বে যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। সেখানে তাঁর সঙ্গে এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা যোগ দেন। সেই কর্মসূচি শুক্রবার (৯ মে) সকালেও চলমান রয়েছে।