আগামী বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) রাজধানীতে শান্তি সমাবেশের ডাক দিয়েছে আওয়ামী লীগের তিন অঙ্গ সংগঠন আওয়ামী যুবলীগ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। দেশের বিভিন্ন স্থানে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এ সমাবেশ করবে সংগঠনগুলো।
সোমবার (২৪ জুলাই) বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই তিন সংগঠনের যৌথ সংবাদ সম্মেলন থেকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হোসেন খান নিখিল।
এনপির সমাবেশের পাল্টা সমাবেশ করছেন কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মাঈনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। রাজনৈতিক দল হিসেবে সহাবস্থানে থেকে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করব।
এর আগে লিখিত বক্তব্যে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় চলতি বছরের শেষ দিকে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন হবে। নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয়ে জেনে দেশবিরোধী চক্র, প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী আবারও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। অগ্নিহত্যার ড্রেস রিহার্সেল হিসেবে তারা রাজধানীর অন্যতম বিদ্যাপীঠ বাংলা কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীর ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে।
তিনি বলেন, গত ২৫ এপ্রিল লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান ও যুবলীগ নেতা রাকিব ইমামের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গেও বিএনপি-জামায়েতের সম্পৃক্ততা রয়েছে। গত ২১ জুন কুমিল্লা জেলার লাকসাম পৌরসভা শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ইফতেখার অনিক বিএনপি-যুবদল-ছাত্রদলের সন্ত্রাসীদের বর্বরোচিত হামলায় নিহত হন।
এর আগে বগুড়া শহর শাখা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাহিদ হাসান ও চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. রমজান আলীকে বিএনপি-জামায়েতের সন্ত্রাসীরা নির্মমভাবে হত্যা করে বলেও জানান নিখিল।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন— আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক অফজালুর রহমান বাবু, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান প্রমুখ।