গাজা যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেয়া প্রস্তাবে পরিবর্তন আনার যে দাবি জানিয়েছে হামাস, তা অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন মধ্যপ্রাচ্যের কসাই খ্যাত ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তবে এরমধ্যেই যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করতে কাতারে প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে তেল আবিব।
এর আগে, গাজায় যুদ্ধ স্থায়ীভাবে বন্ধের জন্য ট্রাম্পের কাছে ব্যক্তিগত গ্যারান্টির দাবি জানায় হামাস। এদিকে, গেলো ২৪ ঘণ্টায় গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি হামলায় প্রাণ হারান আরও ৭৪ ফিলিস্তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেয়া প্রস্তাবে হামাস ইতিবাচক সাড়া দেয়ায় আশার আলো দেখছেন গাজার ফিলিস্তিনিরা। তাদের আশা, যুদ্ধবিরতি নিয়ে এবার সত্যিই বলছেন ট্রাম্প।
গাজার এক বাসিন্দা বলেন, শুনেছি ট্রাম্প নাকি যুদ্ধ বন্ধ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। আশা করছি, এ সিদ্ধান্ত দ্রুতই আসবে। এ অন্যায় অমানবিক গণহত্যায় আমরা ভীষণ ক্লান্ত।
তিনি আরও বলেন, আমরা স্থায়ীভাবে এ যুদ্ধের শেষ চাই। প্রতিবারের মতো সাময়িক না। তারা জিম্মিদের ফিরিয়ে নিয়ে যাক, আমাদের বন্দিদের ফেরত দিক এবং গাজা পুনর্গঠনের সুযোগ দিক যেন আমরা আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারি, এটাই চাওয়া।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করতে এরইমধ্যে কাতারে একটি প্রতিনিধি পাঠিয়েছে ইসরাইল। বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে হামাস ট্রাম্পের আনা প্রস্তাবে যে পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছে তা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য উল্লেখ করে সেটিকে নাকচ করে দিয়েছেন তিনি।
এদিকে যুদ্ধবিরতির এ আলোচনার মধ্যেই শনিবার রাতেও গাজার বিভিন্ন জায়গায় অব্যাহত থাকে ইসরাইলি তাণ্ডব। এসময় খান ইউনুস, নুসেইরাত শরণার্থী শিবির ও গাজা সিটি লক্ষ্য করে একের পর এক হামলা চালায় ইসরাইলি সেনারা। এতে নিহত হন অর্ধশতাধিক মানুষ।
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি ডব্লিউএফপি জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় প্রতি তিনজনের একজন ফিলিস্তিন না খেয়ে দিন পার করছেন।
সংস্থাটি আরও জানায়, উপত্যকায় খাদ্য সহায়তা পৌঁছানো শুরু করলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই সামান্য। এছাড়া ত্রাণ নিতে গিয়ে ইসরাইলি হামলায় বহু ফিলিস্তিনি হতাহতের ঘটনায় নিন্দাও জানায় সংস্থাটি।