খবরে বলা হয়েছে, পুরনো সংস্করণের বিপরীতে এই নতুন প্রযুক্তি রাডার স্ক্রিন থেকে লুকানোর জন্য রাডার গম্বুজ বা ককপিটের মতো বিমানের নির্দিষ্ট অংশগুলোকে লক্ষ্য করতে পারে। এটিকে ‘ক্লোজড ইলেক্ট্রন বিম প্লাজমা স্টিলথ ডিভাইস’ বলা হয়।
চীনের জে-১০সি, জে-১৬ জেট বিমানে এই প্রযুক্তি লাগানোর ফলে এগুলো কার্যত ‘অদৃশ্য’ হয়ে যাবে। শত্রুদেশের রাডার এদের নাগাল পাবে না। বিজ্ঞানীদের দাবি, তারা এই দুঃসাধ্য সাধন করেছেন। প্লাজমা বেসড এই ডিভাইস যে কোনও যুদ্ধবিমানকে ম্যাজিকের মতো অদৃশ্য করে দিতে সক্ষম। বিমানের বাইরের অংশে এর প্রলেপ দিলে কোনও রাডার এর গতিবিধি ধরতে পারবে না।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল জানিয়েছে, শুধু ভারত কেন, যুক্তরাষ্ট্রের থেকেও কয়েক গুণ এগিয়ে চীনের এই কৌশল। এই প্রযুক্তির নাম দেওয়া হয়েছে প্লাজমা স্টেল্থ ডিভাইস। বর্তমান যুদ্ধকৌশলে বিশেষ ধরনের রাডার-প্রতিরোধক ডিজাইনের ফলে জেট বিমান অনেক সময় রাডারের নাগাল এড়াতে পারে। কিন্তু, চীনের দাবিমতো এই প্রযুক্তিতে গোটা বিমানই শত্রুর রাডার থেকে উধাও হয়ে যাবে। রাডারে ধরা না পড়লে এটিকে ঠেকানোও অসাধ্য হয়ে যাবে।
প্রকল্পের একজন বিজ্ঞানী ট্যান চ্যাং বলেছেন, নতুন প্রযুক্তির বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে, যেমন একটি সাধারণ নকশা, সামঞ্জস্যযোগ্য শক্তি এবং উচ্চ প্লাজমা ঘনত্ব। ট্যান এবং তার দল মনে করে যে, এই নতুন সমাধানটি বিভিন্ন সামরিক বিমানে ব্যবহার করা যেতে পারে, যাতে চীন তার সামরিক সক্ষমতা উন্নত করতে সহায়তা করে।