ইউক্রেনে রাসায়নিক বা জৈব অস্ত্র ব্যবহার করে হামলার পরিকল্পনা করতে পারে রাশিয়া এবং আমাদের সবার সেদিকে নজর রাখা উচিত বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে মার্কিন জৈব অস্ত্রের ল্যাব এবং ইউক্রেনে রাসায়নিক অস্ত্রের উন্নয়ন সম্পর্কে রাশিয়ার দাবি অযৌক্তিক বলেও জানিয়েছে দেশটি।
বুধবার (৯ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সরকারি বাসভবন হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি একথা জানান বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
ইউক্রেনে মার্কিন জৈব অস্ত্রের ল্যাব এবং রাসায়নিক অস্ত্রের উন্নয়ন সম্পর্কে রাশিয়ার এই মিথ্যা দাবিগুলোকে আরও পূর্বপরিকল্পিত, বিনা উস্কানিতে আক্রমণ চালানোর ন্যায্যতা দেওয়ার চেষ্টার একটি ‘স্পষ্ট চাল’ হিসেবেও অভিহিত করেছেন জেন সাকি। এর আগে পশ্চিমা দেশগুলোর কর্মকর্তারা ইউক্রেনে নতুন হামলার বিষয়ে একই ধরনের উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন, এরপরই বুধবার একই আশঙ্কার কথা জানাল যুক্তরাষ্ট্র।
পশ্চিমা কর্মকর্তারা বলেছিলেন, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের তীব্রতা আরও বৃদ্ধির ঝুঁকি নিয়ে এবং বিশেষ করে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর অপ্রচলিত অস্ত্র ব্যবহার করার সম্ভাবনা নিয়ে তারা ‘খুবই উদিগ্ন’।
কেমিক্যাল ওয়েপনস এর অর্থ সাধারণ ভাবে রাসায়নিক অস্ত্রকে বোঝালেও শব্দটি কৌশলগত (ছোট আকারের) পারমাণবিক অস্ত্র, জৈবিক অস্ত্র এবং ডার্টি বোমাকেও বুঝিয়ে থাকে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, পশ্চিমা এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘আমাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো যথেষ্ট কারণ রয়েছে।’
তারা বলছেন, পশ্চিমাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে রাশিয়া এর আগে যেখানেই সামরিকভাবে সংশ্লিষ্ট হয়েছে সেখানে, বিশেষ করে সিরিয়াতে মস্কোর মিত্রদের রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করতে দেখা গেছে।
বুধবার জেন সাকি বলেছেন, ‘ইউক্রেনে রাসায়নিক বা জৈবিক অস্ত্র ব্যবহার করার পরিকল্পনা অথবা সেগুলো ব্যবহার করে একটি সাজানো হামলা চালানোর বিষয়ে আমাদের সকলের নজর রাখা উচিত।’
অন্যদিকে বুধবার যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক টুইটে জানায়, রাশিয়া ইউক্রেনে থার্মোবারিক রকেট ব্যবহার করেছে। এই রকেটগুলোকে ভ্যাকুয়াম বোমাও বলা হয়। কারণ এই বোমাগুলো উচ্চ-তাপমাত্রার বিস্ফোরণ ঘটাতে বায়ু থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে থাকে।