বিশ্বের প্রথম করোনা টিকা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী অনুমোদন লাভ করেছে ফাইজার। আজ ২৪ আগস্ট মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ফাইজারের তৈরি কোভিড-১৯ টিকার উভয় ডোজ যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)-র অনুমোদন পেয়েছে। বিশ্বের প্রথম কোনো করোনা টিকা হিসেবে এই অনুমোদন পেল ফাইজার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই টিকাকে আগে কেবল জরুরি ব্যবহারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। তবে এফডিএ’র সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ফাইজারের টিকার দু’টি ডোজ যুক্তরাষ্ট্রে ১৬ বছর ও এর বেশি বয়সী সকলের জন্য স্থায়ীভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তিন সপ্তাহের ব্যবধানে টিকা গ্রহীতারা এই টিকার দু’টি ডোজ গ্রহণ করতে পারবেন।
এফডিএ জানায়, ভারতে প্রথম শনাক্ত করোনাভাইরাসের অতিসংক্রামক ধরন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট প্রতিরোধে ফাইজারের টিকার কার্যকারিতার প্রমাণ পাওয়ার পরই এই স্থায়ী অনুমোদন দেওয়া হয়। এফডিএ’র কমিশনার জেনেট উডকক জানিয়েছেন, ফাইজারের টিকাকে স্থায়ী অনুমোদন দেওয়ার এই সিদ্ধান্ত আমাদের কাছে একটি মাইলফলক। এর ফলে মার্কিন নাগরিকরা টিকা নেওয়ার জন্য আরও আত্মবিশ্বাসী হবেন। তার দাবি, মানবদেহে দীর্ঘমেয়াদি পরীক্ষার ফল বিশ্লেষণ করেই ফাইজারকে সম্পূর্ণভাবে অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার নাগরিকদের করোনা টিকার বুস্টার ডোজ হিসেবে চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে ফাইজার-বায়োএনটেক ও মডার্নার টিকার অনুমোদন দেয় এফডিএ। সেসময় এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল ব্যক্তিদের মধ্যে যারা ফাইজার বা মডার্নার টিকার দুই ডোজ সম্পূর্ণ করেছেন, তাদের দ্বিতীয় ডোজের টিকা নেওয়ার ৬ থেকে ১২ মাসের মধ্যে তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে।