যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মায়ামির উত্তরে ১২ তলা বিশিষ্ট একটি আবাসিক ভবন ধসে অন্তত একজন নিহত হয়েছেন। কর্মকর্তারা বলেছেন, এই ভবন ধসের ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন আরও কমপক্ষে ৫১ জন। বুধবার স্থানীয় সময় রাত ২টার দিকে বহুতল ওই আবাসিক ভবন ধসে পড়ে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, উদ্ধারকর্মীরা জীবিতদের সন্ধানে ধ্বংসস্তুপ সরিয়ে ফেলছেন। এ সময় এক কিশোরকে ধ্বংসস্তুপের নিচ থেকে জীবিত উদ্ধার করতে দেখা গেছে। তবে ধসে পড়ার সময় ভবনটির ভেতরে কতজন ছিলেন তা এখনও পরিষ্কার নয়।
মায়ামি সৈকতের উত্তরের সার্ফসাইড শহরের আবাসিক এলাকায় ওই ভবনটি ১৯৮১ সালে তৈরি করা হয়। ভবনটিতে মোট ১৩০টি ইউনিট ছিল। বুধবার মধ্যরাতে হঠাৎ করে ভবনটির অর্ধেক অংশ ধসে যায়।
মায়ামি কাউন্টির কমিশনার জোসে দিয়াজ বলেছেন, ভবনটিতে বসবাসরত ৫১ জনের সঙ্গে এখন পর্যন্ত যোগাযোগ করা যায়নি। কর্মকর্তারা বলেছেন, উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তুপের ভেতর থেকে ৩৫ জনকে বের করেছেন। তাদের মধ্যে ১০ জনকে দুর্ঘটনাস্থলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে এবং দু’জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এক সংবাদ সম্মেলনে সার্ফসাইডের মেয়র চার্লস বার্কেট বলেছেন, ভবনটির পেছনের দিকের— সম্ভবত এক তৃতীয়াংশ অথবা তারও বেশি অংশ সম্পূর্ণ ধসে গেছে।
পুলিশ বলছে, মায়ামি সৈকতের উত্তরের দিকে ৮৭৭৭ কলিনস অ্যাভিনিউয়ে ভবনটি অবস্থিত। চ্যামপ্লেইন টাওয়ার নামের ওই ভবনে সৈকতমুখী শতাধিক অ্যাপার্টমেন্ট আছে। ধসে পড়ার পরপরই দুর্ঘটনাস্থলে ৮০টিরও বেশি উদ্ধারযান পাঠানো হয়।