যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে ১১৫ জনের গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই বাড়িটি একটি শেষকৃত্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের বলে জানা গেছে। পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণে ওই মরদেহগুলোর এমন অবস্থা হয়ে কি না তা জানতে তদন্ত করা হচ্ছে।
গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, পরিত্যক্ত ওই ভবনটি রিটার্ন টু নেচার ফিউনারেল হোম নামে একটি প্রতিষ্ঠানের। তার টাকার বিনিময়ে মানুষের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার কার্যক্রম সম্পন্ন করে দেয়। সেই প্রতিষ্ঠানটিই সেখানে এতগুলো মরদেহ রেখেছিল। কিন্তু কেন রেখেছিল সে বিষয়ে এখনো বিস্তারিত জানায়নি পুলিশ।
পুলিশ জানায়, প্রতিষ্ঠানটি পরিবেশবান্ধব কবর দেওয়ার সেবা দিত। স্থানীয়দের কাছ থেকে দুর্গন্ধের অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু হয়। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মরদেহগুলো পাওয়া যায়।
প্রতিষ্ঠানটির মালিক জন হালফোর্ড দাবি করেছেন, তিনি মরদেহগুলোর ট্যাক্সিডার্মি করিয়েছিলেন, তারপরও কেন দুর্গন্ধ ছড়াল সে বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারছেন না।
ট্যাক্সিডার্মি হলো এমন এক পদ্ধতি, যার সাহায্যে মানুষ বা কোনো প্রাণীর মরদেহের চামড়াকে বিশেষভাবে সংরক্ষণ করা হয়। হালফোর্ডের দাবি, তিনি এই ভবনটিতে মরদেহের ট্যাক্সিডার্মির কাজ করতেন। রাজ্য কর্তৃপক্ষ ভবনটিকে সিল করে দিয়েছে।
রিটার্ন টু নেচার ফিউনারেল হোমের মালিক জন হালফোর্ড আরও দাবি করেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে তিনি ভবনটি নিয়ে ঝামেলায় পড়েছেন। তবে ঝামেলা কী ধরনের সে বিষয়ে কোনো কিছু জানা যায়নি।
তবে কলোরাডো অঙ্গরাজ্য সরকারের নথি বলছে, হালফোর্ড অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া ও সৎকারের জন্য ভবনটির নিবন্ধন করলেও সেখানে ট্যাক্সিডার্মি করার কোনো অনুমতি ছিল বলে তার নিবন্ধনপত্রে লেখা নেই। এছাড়া আগামী মাসেই ভবনটির নিবন্ধনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে।
রাজ্যের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া বিভাগ জানিয়েছে, তারা পুলিশের সঙ্গে তদন্তে সহযোগিতা করে যাচ্ছে।
কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের ফ্রেমন্ট কান্ট্রি শেরিফ অ্যালেন কুপার বলেন, পেনরোজ শহরের দ্য রিটার্ন টু ন্যাচার নামের প্রতিষ্ঠানটি কোনো অনিয়ম করেছে কি না তা তদন্ত করা হচ্ছে। এই ঘটনায় এখনো কাউকে অভিযুক্ত বা গ্রেফতার করা হয়নি।