মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মহামারি করোনাভাইরাসের নতুন একটি ধরন শনাক্ত করেছেন বিজ্ঞানীরা। এর নাম দেওয়া হয়েছে ইজি-৫ (EG.5)। তবে এটি একেবারে নতুন কোনো ধরন নয় বলেও জানিয়েছেন মার্কিন বিজ্ঞানীরা। এক্সবিবি ধরনের মতো এটিও মূলত ওমিক্রনের মতো একটি ধরন।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিস কনট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন জানিয়েছে, বর্তমানে দেশটিতে করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় ১৭ শতাংশ মানুষের দেহে নতুন এই ধরন পাওয়া গেছে। তবে নতুন এই ধরনের মিউটিশনে (রূপান্তর) ভাইরাসটির সংক্রমণের ক্ষেত্রে কেমন পরিবর্তন আসতে পারে তা এখনো নিশ্চিত নন বিজ্ঞানীরা।
ইজি-৫ ধরনেরও ওমিক্রনের মতো নিজস্ব শাখা রয়েছে, যেটিকে বিজ্ঞানীরা ইজি-৫.১ নাম দিয়েছেন। এটি সংক্রমণে দ্বিতীয় মিউটেশন (রূপান্তর) যোগ করে। যা খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।
বর্তমানে সারাবিশ্বে মহামারি করোনার যত জিনোম সিকোয়েন্সিং হয়েছে তারমধ্যে ৩৫ শতাংশের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, এ পর্যন্ত করোনা ৪৬৫ বার রূপ বদলেছে। কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির মাইক্রোবায়োলজি ও ইমিউনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডেভিড হো বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে করোনার ধরনগুলো পরীক্ষা করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, করোনার বদল হওয়া ধরনগুলো আগের ধরনের চেয়ে বেশি সংক্রমণ পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে বলে মনে হচ্ছে না।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরেও করোনার নতুন ধরন ইজি-৫ আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, জাপান এবং চীনে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বুধবার জানিয়েছে, করোনার নতুন এই ধরনের সংক্রমণ পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা প্রয়োজন। এটি ট্র্যাক করা উচিত এবং এর ওপর আরও অধ্যয়ন করা উচিত।