র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের মহাপরিচালক (ডিজি) এম খুরশীদ হোসেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় যেসব অভিযোগ করা হয়েছিল আমরা তার তদন্ত করেছি। সব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। এরইমধ্যে সবগুলো অভিযোগের জবাব দিয়েছে র্যাব। সরকার বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।
র্যাব-৯ এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে র্যাব-৯ সদর দপ্তর সিলেটে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে র্যাব ডিজি এ কথা জানান। ২০০৫ সালের সেপ্টেম্বরে যাত্রা শুরু করে র্যাব-৯।
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া নিষেধাজ্ঞায় র্যাবে যেসব সংস্কারের কথা বলা হয়েছে, তার দায়িত্ব সরকারের। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দায়িত্বও সরকারের।
সংস্থার কেউ আইনবিরোধী কাজ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, র্যাব তার নীতিতে অবিচল। সংস্থায় কেউ যদি অপরাধ করে সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিষেধাজ্ঞায় নাম থাকা ৭৬ জনের তালিকা অনুসারে তদন্ত করা হয়েছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে র্যাব মহাপরিচালক বলেন, বান্দরবানের গহীন পাহাড়ে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান এখনো চলছে। গহীন অরণ্যে শুধু নয়, জঙ্গি-সন্ত্রাসীরা যেখানেই থাকুক না কেন, সেখানেই অভিযান চালাবে র্যাব। জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের কাছে র্যাব হবে আতঙ্কের নাম।
র্যাব-৯ সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে মানুষের আস্থা অর্জন ও জনগণের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে উল্লেখ করে খুরশীদ হোসেন বলেন, আইনশৃঙ্খলার রক্ষায় নিয়োজিত থাকার পাশাপাশি র্যাব-৯ সব দুর্যোগ মুহূর্তে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। বিগত বন্যায় অসহায় মানুষের মুখে খাবার তুলে দেওয়াসহ নানা সহায়তা দিয়েছে র্যাব-৯। বিভিন্ন সময় মেডিকেল ক্যাম্প গঠন করে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া, এতিমদের মাঝে খাবার ও বস্ত্র বিতরণ করে তাদের মুখে হাসি ফোটানোসহ নানা সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ড র্যাব-৯ পরিচালনা করছে। আগামীতেও এসব কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখবে র্যাব-৯।