শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর উত্তরার জায়ান্ট বিজনেস টাওয়ারে বিজিএমইএ নির্বাচন ২০২৫–২৭ উপলক্ষে সম্মিলিত পরিষদের নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন ও দোয়া মাহফিলে এই বক্তব্য দেন বক্তারা।
এর আগে, গত ২ এপ্রিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিভিন্ন দেশের ওপর পারস্পরিক শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন, যার আওতায় ১০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক নির্ধারণ করা হয়। বাংলাদেশ থেকে রফতানিকৃত পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক নির্ধারিত হয়। এরপর ৭ এপ্রিল ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিতের অনুরোধ জানিয়ে ট্রাম্পকে চিঠি পাঠান। এরপর গত ৯ এপ্রিল ট্রাম্প চীন ছাড়া অন্যান্য দেশের জন্য ৯০ দিনের শুল্ক স্থগিতের ঘোষণা দেন, যার আওতায় বাংলাদেশও অন্তর্ভুক্ত হয়।
তবে স্থগিতাদেশ শেষ হওয়ার আগেই স্থায়ীভাবে শুল্ক প্রত্যাহারের দাবিতে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানোর পরামর্শ দেন আবুল কালাম। তিনি বলেন, ৯০ দিন পার হওয়ার পর যেন আবার সেই শুল্কের বেড়াজালে পড়তে না হয়, সে জন্য ড. ইউনূসকে মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানাই। শুল্ক পুরোপুরি না উঠলে পোশাক খাতে প্রতি মাসে অতিরিক্ত ২৫০ মিলিয়ন ডলারের বোঝা চাপবে। অথচ উদ্যোক্তারা গড়ে ৩-৪ শতাংশের বেশি লাভ করতে পারেন না।
এ পরিস্থিতিতে প্রায় এক হাজার কারখানার অস্তিত্ব সংকটে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। এছাড়া ক্রেতার ওপর শুল্কভার চাপানোর নিয়ম থাকলেও, বর্তমানে বায়িং প্যাটার্নের কারণে সেই বোঝা অনেকাংশে সরবরাহকারীদেরই বহন করতে হচ্ছে বলেও জানান।