বিরোধী দুই দলের মধ্যে কাদের হাতে কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ যাবে সেটা নির্ধারণে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। স্থানীয় সময় মঙ্গবার (৮ নভেম্বর) সকাল থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। তবে এই নির্বাচনের পুরো ফলাফল পেতে আরও কয়েক দিন বা কয়েক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে বলে ধারণা করছেন নির্বাচন পর্যবেক্ষকেরা।
চার বছর অন্তর যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়। এই নির্বাচনের দুই বছরের মাথায় অনুষ্ঠিত হয় মধ্যবর্তী নির্বাচন। কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ বা প্রতিনিধি পরিষদের ৪৩৫টি আসনের প্রতিটিতে এবং সিনেটের এক-তৃতীয়াংশ বা ৩৫টি আসনে ভোট হচ্ছে। এ ছাড়া ৩৬টি অঙ্গরাজ্যের গভর্নর পদেও নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের মধ্যে লড়াই হবে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালে এই নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।
কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে (প্রতিনিধি পরিষদ) সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে রিপাবলিকানদের বাড়তি পাঁচটি আসনে জয়ী হতে হবে। আর সিনেটে একটি আসন বেশি পেলেই তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে যাবে। দল নিরপেক্ষ নির্বাচন পর্যবেক্ষক এবং বিভিন্ন জনমত জরিপ ইঙ্গিত দিচ্ছে, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের দল ডেমোক্রেটিক পার্টিকে হটিয়ে রিপাবলিকানদের প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার খুব বেশি সম্ভাবনা রয়েছে। অপর দিকে সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য দুই দলের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিটি অঙ্গরাজ্যে দুই জন সিনেটর থাকেন। যারা ছয় বছরের জন্য নির্বাচিত হন। রিপ্রেজেন্টেটিভরা নির্বাচিত হন দুই বছরের জন্য এবং ছোট জেলাগুলোর প্রতিনিধিত্ব করেন। বিগত দুই বছর ধরে প্রতিনিধি পরিষদ ও সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রেখেছে ডেমোক্র্যাটরা। এর ফলে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের জন্য যেকোনো আইন পাস করা সহজ হয়েছে।
কিন্তু মধ্যবর্তী নির্বাচনে কংগ্রেসে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালে সেই সুযোগ আর থাকবে না ডেমোক্র্যাটদের। ফলে ক্ষমতা অনেকটাই হারাবেন বাইডেন। প্রতিনিধি পরিষদ অথবা সিনেটের কোনো একটিতেও যদি ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাটদের মুঠি আলগা হয়ে যায়, তাহলে পরবর্তী দুই বছর প্রেসিডেন্ট বাইডেনের পক্ষে দেশ চালনো বেশ মুশকিল হবে।
কারণ এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখা। কারণ কংগ্রেস ভবনে হামলার জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দায়ী করে কংগ্রেসে যে তদন্ত চলছে প্রতিনিধি পরিষদ-নিম্নকক্ষে রিপাবলিকানরা নিয়ন্ত্রণ পেলে তারা এই তদন্ত বাতিল করতে পারে। এখানেই শেষ নয়, প্রতিনিধি পরিষদে ন্যান্সি পেলোসির জায়গায় স্পিকার হতে পারেন রিপাবলিকান কেভিন ম্যাকার্থি।