উপদেষ্টা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত পাল্টা শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করার জন্য সরকারের সব মহল থেকে সম্মিলিত প্রচেষ্টা আছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সে আলোচনা এখনও চলমান। চূড়ান্ত চুক্তির আগে সেটা হতে পারে। আমরা যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে যেসব পদক্ষেপ নিয়েছি আশা করছি শুল্ক কমতে পারে। তবে এটা নিশ্চিত করে বলা যাবে না। কারণ যে শুল্ক আরোপ করেছে (যুক্তরাষ্ট্র) বিষয়টি তার ওপর অনেকাংশেই নির্ভর করে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চূড়ান্ত চুক্তির কোনো তারিখ এখনও পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কের হার ২০ শতাংশের ঘোষণা এলেও দেশটির সঙ্গে এখনো কোনো চুক্তি হয়নি। চুক্তি এ মাসের শেষে হতে পারে। চুক্তির খসড়া তৈরির কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি (ইউএসটিআর)।
বাজারে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধিতে ভারত থেকে আমদানি করা হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, চাহিদা ও যোগানের ভিত্তিতে এবার পেঁয়াজ আমদানি করা হবে। শুধু ভারত থেকে নয়, ব্যবসায়ীরা যেখান থেকে আমদানি করতে চাইবে সেখান থেকেই অনুমতি দেওয়া হবে। কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের মূল উদ্দেশ্য পেঁয়াজের দাম কমান, সরবরাহ বৃদ্ধি করা। এজন্য যেখান থেকে কম দামে পাওয়া যাবে সেখান থেকেই পেঁয়াজ আমদানি করা হবে।
এ সময় বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মইনুল খান, অতিরিক্ত সচিব আব্দুর রহিম খান ও ড. নাজনীন কাওসার চৌধুরী এবং বিকেএমইয়ের সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম উপস্থিত ছিলেন।