যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমে ক্যালিফোর্নিয়া এবং উত্তর-পূর্বে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য। ভৌগোলিক অবস্থানগত দিক থেকে দুই অঙ্গরাজ্যের দূরত্ব প্রায় তিন হাজার মাইল। এই দুই অঙ্গরাজ্যের একটি পুড়ছে দাবানলে, আর অপরটি ভাসছে বন্যায়। ঘূর্ণিঝড় আইডা আঘাত হেনেছে নিউইয়র্কসহ এর আশপাশের অঙ্গরাজ্যগুলোয়।
অন্যদিকে, দাবানলে পুড়ছে ক্যালিফোর্নিয়া এবং এর আশপাশের অঙ্গরাজ্যগুলো। যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় নিউইয়র্ক ও নিউ জার্সিতে অভূতপূর্ব মাত্রায় বৃষ্টিপাত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ও আকস্মিক বন্যায় এখন পর্যন্ত অন্তত সেখানে ৪৫ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি। নিউইয়র্কে বন্যার পানিতে ভেসে গেছে সেখানকার পাতাল রেলস্টেশন।
অনেক বাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। পানিতে ভেসে গেছে অনেকের গাড়ি। আবার এসব গাড়িতে আটকা পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন বেশ কয়েক জন। শুধু নিউইয়র্কে এমনটা ঘটছে, তা নয়। নিউ জার্সি, কানেটিকাট, লুইজিয়ানা, মিসিসিপি, পেনসিলভানিয়াতেও বন্যা ও টর্নেডো আঘাত হেনেছে। মৃত্যুর খবর আসছে এসব অঙ্গরাজ্য থেকেও।
এ ছাড়া পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের ফিলাডেলফিয়ায় পাঁচ জন এবং কানেটিকাটে অঙ্গরাজ্যে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। ম্যারিল্যান্ড ও ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যেও মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে নিউইয়র্ক ও নিউ জার্সিতে জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা।
এদিকে, ক্যালিফোর্নিয়াতেও জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। তবে, সেটা দাবানলের কারণে। সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, গত সোমবার ক্যালিফোর্নিয়ায় জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা দেওয়া হয়। ধারণা করা হচ্ছে, এবারের দাবানল গত বছরের দাবানলকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। ক্যালডর ফায়ারে এরই মধ্যে দুই লাখ একর বনভূমি পুড়ে গেছে।
খবরে বলা হয়েছে, গত ১৪ আগস্ট সেখানে দাবানল শুরু হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানে অগ্নিনির্বাপণ বিভাগের কর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছে। এসব এলাকা থেকে প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য সরকারের দেওয়া তথ্য অনুসারে, দুটি কাউন্টিতে এই দাবানল এখন জ্বলছে। এই আগুন এখন নেভাডার দিকে ছুটছে। ফলে সেখানকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।