মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই খবর জানায় মার্কিন বার্তাসংস্থা এপি।
ইউক্রেন দাবি করেছে, তারা ব্রায়ানস্কে রাতের বেলায় একটি সামরিক অস্ত্র গুদামে আঘাত করেছে, তবে কী ধরণের অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে তা স্পষ্ট করেনি।
ইউক্রেনীয় জেনারেল স্টাফ জানিয়েছেন, হামলাকৃত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণ এবং বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
উভয়পক্ষের এই দাবি যাচাই করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে এপি।
মঙ্গলবার ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাশিয়ার টানা তিন দিনের হামলায় বেসামরিক এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সোমবার রাতে উত্তর সুমি অঞ্চলের হ্লুখিভ শহরে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রাবাসে রুশ ড্রোন শাহেদের আঘাতে অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে একটি শিশু রয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ১১ জন, যার মধ্যে দুই শিশু রয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও মানুষ আটকা পড়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
যুদ্ধের সময় ইউক্রেনীয় বেসামরিকরা বারবার রুশ ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শিকার হয়েছেন।
এর আগে, রোববার সুমি অঞ্চলের একটি আবাসিক এলাকায় রাশিয়ার ক্লাস্টার মিউনিশনসহ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১১ জন নিহত এবং ৮৪ জন আহত হয়। সোমবার দক্ষিণের বন্দর শহর ওডেসায় রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডে ১০ জন নিহত এবং ৪৩ জন আহত হয়।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উদ্দেশ্য নিয়ে কঠোর মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, এই ধারাবাহিক আক্রমণ প্রমাণ করে পুতিন যুদ্ধ শেষ করতে আগ্রহী নন।
জেলেনস্কি বলেন, ‘রাশিয়ার প্রতিটি নতুন হামলা পুতিনের আসল অভিপ্রায় প্রকাশ করে। তিনি চান এই যুদ্ধ চলতে থাকুক। শান্তি আলোচনা তার কাছে কোনও গুরুত্ব বহন করে না। আমাদের শক্তি দিয়ে রাশিয়াকে একটি ন্যায্য শান্তি বাস্তবায়নে বাধ্য করতে হবে।’