যুক্তরাজ্যে দুধ, পনির ও ডিমের দাম বেড়েছে ব্যাপকভাবে। ফলে দেশটিতে খাদ্যের দাম বেড়ে ১৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ হয়েছে। বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, খাদ্যের দাম দ্রুত গতিতে বেড়েছে, যা ২০০৮ সালের পর সর্বোচ্চ। করোনা মহামারির পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দেশটিতে।
সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম কমার কারণে মূল্যস্ফীতির হার সামান্য কমেছে। কিন্তু এটি এখনো ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে।
জানা গেছে, পণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের জীবনযাত্রার ব্যয় অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে। কারণ পণ্যের মূল্য যেভাবে বেড়েছে সেভাবে মজুরি বাড়েনি।
চলতি বছরের জুলাইতে যুক্তরাজ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়ায় ১০ দশমিক ১ শতাংশে। আগস্টে এটি কমে ৯ দশমিক ৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করে জানিয়েছেন, মূল্যস্ফীতি ক্রমেই বাড়তে পারে।
তাছাড়া ব্যাংক অব ইংল্যান্ড সতর্ক করেছে যে এই বছর মূল্যস্ফীতির হার ১৩ শতাংশে পৌঁছাতে পারে। তাই এটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে সুদের হার আরও বাড়ানোর হতে পারে।
অন্যদিকে নানামুখী চ্যালেঞ্জের মধ্যেই যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন লিজ ট্রাস। প্রতিদ্বন্দ্বী ঋষি সুনাককে বিপুল ব্যবধানে হারিয়েছেন তিনি।