রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের দেশের মধ্যে ইন্টারনাল নিরাপত্তা বাহিনী তৈরি করেছেন। তার নাম ছাত্রলীগ। তাদেরকে অবাধ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে যে তোমরা যা ইচ্ছা তাই কর, কিন্তু বিএনপি যুবদল ছাত্রদলের মিছিল দেখলেই ঝাঁপিয়ে পড়বে। বেআইনি অস্ত্র দিয়ে ধাওয়া করবে এই লাইসেন্স তাদের দেওয়া হয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে ভয় পান শেখ হাসিনা। কিন্তু ছাত্রলীগ অপকর্ম নিয়ে কোনো কথা বলেন না। ২০২০ সালে সিলেটে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে নির্যাতন করা হয়েছে তার কোন বিচার হয় নাই। কারণ কোর্ট তাদের পুলিশ তাদের। তাদের বিচার হবে কেন?
রিজভী বলেন, ‘বিচার হয় গণতন্ত্রের কথা বললে। মিছিল বের করলে তাদেরকে ধরে নিয়ে বন্দি করে রাখা হয়। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু ও মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল তারা আজ জেলে। কারণ তারা বক্তব্যে গণতন্ত্রের কথা বলেছিল। আর যুবলীগ-ছাত্রলীগ ক্যাসিনো খুলবে, সুন্দরী নারীদের নিজেদের সম্পত্তি মনে করবে। গত রোববার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যে জঘন্য ঘটনা ঘটেছে তারপরও কী প্রধানমন্ত্রী আপনার টনক নড়েনি? এ দেশের কাছে কোনো নারী, শিশু সাধারণ জনগণের কোন নিরাপত্তা নেই।
শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে বিএনপির এই নেতা বলেন, আপনার অন্যায় অত্যাচারের কারণেই দেশে গণতন্ত্র ফিরে আনতে হবে। গণতন্ত্র ফিরে আসলে ছাত্রলীগ-যুবলীগের যারা অন্যায় করেছে তাদের বিচার হবে।
এ সময় বিএনপি’র চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জিয়া পরিষদের সভাপতি প্রফেসর আব্দুল কুদ্দুস, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, যুবদলের সাহিত্য প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত, ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ওমর ফারুক কাওসার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।