চাঞ্চল্যকর নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত নজরুলকে ধরতে হন্য হয়ে খুঁজতে থাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পথচারির ফোন থেকে খালাতো ভাইয়ের মোবাইলে কথা বলার সূত্র ধরে অভিযান চালিয়ে ঘটনার পরদিন মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বিকেলে গাজীপুরের জয়দেবপুর স্টেশন থেকে নজরুলকে গ্রেফতার করে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ। আলোচিত ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় মূল হোতাকে গ্রেফতারের পর বেরিয়ে এসেছে হত্যার রহস্য।
ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আসামির আক্রোশের কারণ ছিল তার ভাবি তাকে মারধর করতো, পূর্বের একটি হত্যা মামলায় আবার জেলে পাঠানোর ভয় দেখাতো। এটি তার ভাইকে বললেও তার ভাই কোনো অ্যাকশন নেয়নি। ঘটনার দিন দুপুর ১২টায় ভাবির সঙ্গে ঝগড়া হয়। তাকে খেতে না দিয়ে মারধর করেছিল। পরে রাত ১টার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় প্রথমে ময়নাকে ও পরে দুই সন্তানকে গলাকেটে হত্যা করে।
তিনি আরও বলেন, হত্যার পর আত্মগোপনে চলে যায় আসামি। কিন্তু নেত্রকোনায় নানার বাড়ির এক আত্মীয়কে পথচারির মুঠোফোন থেকে ফোন করলে আমরা তার অবস্থান শনাক্ত করে গাজীপুরের জয়দেবপুর রেল স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম থেকে গ্রেফতার করি। সে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তি দেবে বলে আমাদের জানিয়েছে।
আবদুল্লাহ আল মামুন, আসামি নজরুল ইসলাম গাজীপুরে জয়দেবপুরে একটি হত্যা মামলার আসামি হয়ে দুই বছরের বেশি সময় জেলে থাকলে তার ভাই রফিকুল জামিনে ছাড়িয়ে ও নিজের ভাড়া বাসায় একটি কক্ষে নজরুলকে থাকতে দেন।