গতমাসে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে কলম্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটিতে জিততে পারেনি আর্জেন্টিনা। ২-১ গোলের সেই হারের পর আজ মাঠে নেমেছিল ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে। এই ম্যাচ দিয়েই চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরেছেন লিওনেল মেসি। তবে মেসির ফেরার ম্যাচে আলবিসেলেস্তদের জয়ের পথে বাধা হয়ে ছিল বৃষ্টির পানি।
মাতুরিনে আর্জেন্টিনা-ভেনেজুয়েলা ম্যাচটি শুরুর আগে নামে ঝুম বৃষ্টি। ভারী বর্ষণে মাঠে পানি জমে যায়। পানি সরিয়ে মাঠ খেলার উপযুক্ত করতেও সময় লাগে, ফলে খেলা মাঠে গড়ায় দেরিতে। তবে ম্যাচটি হলেও মাঠ ছিল ভেজা, এখানে সেখানে জমে ছিল পানি। ফলে দুই দলই স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারেনি। এমন ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দিয়েছিলেন নিকোলাস ওতামেন্দি।
ভেজা মাঠে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা নিজেদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারেনি। শুরু থেকেই থেমে থেমে যাচ্ছিল বল। ঠিক মতো পাস দেয়া যাচ্ছিলো না। এমন ম্যাচের ১৪ মিনিটেই লিডের দেখা পায় আর্জেন্টিনা।
মেসির ফ্রি কিক ভেনেজুয়েলার গোলরক্ষক ফিরিয়ে দিয়েছিলেন, এরপর তা যায় ওতামেন্দির কাছে, এই সুযোগেই লক্ষ্যভেদ করেন এই আলবিসেলেস্তে ফুটবলার। আর্জেন্টিনা এগিয়ে যাওয়ার পর সমতায় ফিরতে ভেনেজুয়েলাও বেশ লড়াই করেছে, বেশ কয়েকবার সুযোগ পেলেও সেসব কাজে লাগাতে পারেনি দলটি।
ভেজা মাঠেও অধিকাংশ সময় বল দখলে রেখেই খেলেছে আর্জেন্টিনা। তবে আক্রমণে এগিয়ে ছিল ভেনেজুয়েলাই। ১৬টি শট নিয়ে ৬টি লক্ষ্যে রেখেছিল দলটি। অন্যদিকে ৮ শট নিয়ে মেসিরা লক্ষ্যে রাখতে পারেন ৪টি।
এদিকে শুরুতে এগিয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত ব্যবধান ধরে রাখতে পারেনি আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ৬৫ মিনিটে ভেনেজুয়েলাকে সমতায় ফেরান সলোমন রন্দন। সতীর্থের দেয়া পাসে হেড করে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন তিনি। এরপর আর কোনো দলই গোলের দেখা না পাওয়ায় ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় মেসিদের।
ভেজা মাঠে এমন ম্যাচের পর মেসি বলেন, ‘খুব কঠিন ছিল (খেলা)। এতে ম্যাচগুলো খুব কুৎসিত হয়ে যায়। আমরা টানা দুটি পাসও খেলতে পারিনি। দ্বিতীয়ার্ধে ডান প্রান্তে কিছুটা খেলতে পেরেছি। কিন্তু এভাবে খেলা খুব কঠিন। খুব অল্পই খেলা সম্ভব হয়েছে।’