লিওনেল মেসির সৌদি আরব সফরের অনুমোদন ছিল না পিএসজির। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির পর্যটনদূত হিসেবে চুক্তিবদ্ধ আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপজয়ী। আর সে কারণেই ক্লাবের অনুমোদন না থাকা সত্ত্বেও সৌদি সফরে গেছেন মেসি। কিন্তু ক্লাবের মতের বাইরে যাওয়ায় তাকে দুই সপ্তাহের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আরএমসি স্পোর্টস জানিয়েছে, পিএসজি সম্প্রতি যে নতুন নীতিমালা গ্রহণ করেছে, সে অনুযায়ীই মেসিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একজন খেলোয়াড়, তিনি যত বড় তারকাই হন, যত বেশি পারিশ্রমিকই পান, ক্লাবের ঊর্ধ্বে নন—নতুন নীতিমালায় এ ব্যাপারেই গুরুত্ব দিতে চাইছে ক্লাব।
এদিকে, মেসির কট্টর সমালোচক হিসেবে পরিচিত ফরাসি সংবাদমাধ্যম লেকুইপে আরও এক কাঠি সরেস। তাদের মতে, মেসিকে নিষিদ্ধ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে পিএসজি। এর মধ্য দিয়ে ক্লাবটিতে নতুন যুগের সূচনারও ইঙ্গিত বলছে তারা।
লেকুইপে আরও জানিয়েছে, মেসির অনুমোদনহীন সৌদি যাত্রাকে ‘মারাত্মক ভুল’ হিসেবে দেখছে পিএসজি। এর আগে থেকেই ক্লাবটির সঙ্গে ৩৫ বছর বয়সী মেসির চুক্তি নবায়ন না করার আলোচনা চলছিল। এর ভেতরই মেসির নিষেধাজ্ঞা আসায়, হয়তো তিনি ফরাসিদের হয়ে আর মাত্র তিনটি ম্যাচ খেলতে পারবেন।
ক্রীড়াভিত্তিক আরেকটি সংবাদমাধ্যম ইএসপিএন জানিয়েছে, অনুমোদন ছাড়া সৌদি ভ্রমণের কারণে মেসিকে কড়া শাস্তি দিয়েছে পিএসজি। দুই সপ্তাহের নিষেধাজ্ঞা চলাকালে তিনি কোনো বেতন পাবেন না। তবে মনে হচ্ছে, আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের সৌদি সফরের প্রভাব আরও দীর্ঘ সময় ধরে থাকতে পারে।
এদিকে, আসন্ন জুনে ফরাসি ক্লাবের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে পিএসজির। এতদিন পর্যন্ত ক্লাবটি মেসির চুক্তি নবায়নের জন্য অনেক চেষ্টা করলেও, এখন তারা সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থান নিয়েছে। এছাড়া সাবেক ক্লাব বার্সেলোনার সঙ্গে মেসির নতুন করে আলোচনা শুরু হলেও, সেটিও আপাতদৃষ্টিতে কঠিনই মনে হচ্ছে। কেননা, লা লিগা সভাপতি হাভিয়ের তেবাস জানিয়েছেন, ‘দেখুন, বার্সেলোনা মোটেও পিএসজির মতো কোনো ক্লাব নয়, যেখানে অর্থ কোনো সমস্যা নয়। বার্সেলোনার খেলোয়াড়দের মোটা অঙ্কের বেতনে খেলানোর সামর্থ্য নেই। তাই বিষয়টি জটিল তাদের জন্য।’
তবে বার্সেলোনা ছাড়াও মেসির নতুন গন্তব্য হিসেবে শোনা যাচ্ছে সৌদি আরবের ক্লাবের নামও। আরেক বিশ্বতারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো আল নাসরে যোগ দেওয়ার পর দেশটির আরেক ক্লাব আল হিলাল নাকি আর্জেন্টাইন তারকাকে দলে ভেড়াতে আগ্রহী। এছাড়া সম্প্রতি আগ্রহী লিস্টে সৌদি প্রো লিগের আরেক শীর্ষ ক্লাব আল ইত্তিহাদের নামও শোনা যাচ্ছিল। একইসঙ্গে আমেরিকান মেজর ক্লাব ইন্টার মিয়ামিও মেসিকে দলে ভেড়াতে প্রয়োজনীয় যেকোনো কিছু করতে প্রস্তুত!