কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের (কুমেক) হোস্টেলে এক ইন্টার্ন চিকিৎসকের ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া গেছে। এসময় তার হোস্টেল কক্ষ থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) রাত ১২টার দিকে হোস্টেল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে কুমিল্লা কোতয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ত্রিনাথ সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত চিকিৎসকের নাম মিনহাজ আবেদিন ভূঁইয়া (২৬)। মিনহাজের বাড়ি চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে।
মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল আজাদ জানান, ২৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মিনহাজ ইন্টার্ন চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।
নিহতের সহকর্মীরা জানান, কয়েকদিন ধরে মিনহাজ কারো সঙ্গে তেমন কথাবার্তা বলছিলেন না। তবে ব্যক্তিগত জীবনে তার কোনো সমস্যা ছিল কি না, অন্যরা তেমন কিছুও জানতেন না।
সহকর্মীদের বরাত দিয়ে পরিদর্শক ত্রিনাথ সাহা জানান, বুধবার রাত ১০টায় মিনহাজের হাসপাতালে ডিউটিতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাত ১১টায় পরও তিনি ডিউটিতে না যাওয়ায় সহকর্মীরা মিনহাজকে খুঁজতে তার কক্ষে যান। এ সময় অ্যাপ্রোনা পরা মিনহাজকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তার কক্ষে ঝুলতে দেখেন তারা। ওই কক্ষে মিনহাজ একাই থাকতেন।
পরিদর্শক ত্রিনাথ আরও জানান, ঘরে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। সেখানে লেখা ছিল— ‘আমার মৃত্যুর জন্য আমি ছাড়া কেউ দায়ী না’। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। মিনহাজের মরদেহ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর তার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।