পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুজ্জামান মামুনের বিরুদ্ধে জেলেদের ভিজিএফ চাল আত্মসাতের অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। রাঙ্গাবালী উপজেলা প্রশাসনের গঠিত অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এ সত্যতা পাওয়া যায়। তবে জেলা প্রশাসকের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের ২৮ দিনেও কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় হতাশ জেলেরা।
রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান খালিদ বিন ওয়ালিদ তালুকদার বলেন, ‘ইউএনও আমাকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। এতে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এবং আইসিটি সহকারী প্রোগ্রামারকে সদস্য রাখা হয়। ভিজিএফ তালিকা যাচাই-বাছাই এবং পর্যালোচনা করে দেখতে পায় ১৯ জন মৃত ব্যক্তির নামও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া ভিজিএফের তালিকায় থাকা ৭৮ জনের কোনো নাম পরিচয় কিংবা অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। অথচ ২০১৯-২০২০, ২০২০-২০২১ এবং ২০২১-২০২২ অর্থবছরে জেলেদের চাল বিতরণের মাস্টারোলে ওইসব ব্যক্তির নামে বরাদ্দকৃত চাল উত্তোলন দেখানো হয়েছে।’
খালিদ আরও বলেন, ‘তদন্তকালে অভিযুক্ত ইউনিয়ন চেয়ারম্যান দাবি করেন ভিজিএফের তালিকায় ৫১ জনের নাম দ্বিতীয়বারও রয়েছে। আমাদের তদন্তে যেসব বিষয় সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে সেসব বিষয় উল্লেখ করে ইউএনওর কাছে প্রতিবেদন দাখিল করেছি।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত রাঙ্গাবালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুজ্জামান মামুন কোনো মন্তব্য না করেননি। একই সঙ্গে সংবাদ প্রকাশ না করার অনুরোধ জানান তিনি।
এ বিষয়ে রাঙ্গাবালী ইউএনও মাশফাকুর রহমান বলেন, ‘দুদকের দায়ের করা একটি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে আমি উপজেলা পরিষদের অভ্যান্তরীণ একটি কমিটির মাধ্যমে তদন্ত করিয়েছি। তদন্তে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাল আত্মসাতের বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। এ বিষয়ে ১ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসকের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মোহম্মদ কামাল হোসেন বলেন, ‘রাঙ্গাবালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাইদুজ্জামান মামুন খানের বিরুদ্ধে দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদন আমরা পেয়েছি। পরবর্তী পদক্ষেপের আমরা উদ্যোগ নিয়েছি।’
অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘যেই পদক্ষেপেই নেওয়া হোক আপনারা জানতে পারবেন।’