আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণই সরকারের মূল লক্ষ্য বলে সংসদকে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এজন্য সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ ও বিলাসী পণ্য আমদানি সীমিত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বুধবার (২৯ জুন) সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশনে সমাপনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় সংসদে অর্থ বিলের ওপর আলোচনায়, অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ নিয়ে সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘করোনা মোকাবিলা করে অর্থনীতি যখন ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, তখন রাশিয়া-ইউক্রেনে যুদ্ধ মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’।
এ যুদ্ধের কারণে বিশ্ব বাজারে বেড়েছে পণ্যের দাম-পরিবহন খরচ; দুই-ই বেড়েছে, আর এর প্রভাব দেশেও পড়েছে। ৯টি নিত্যপণ্য আমদানিতেই খরচ বেড়েছে প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার। বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতির এই চাপ মোকাবিলায় বাজেটে ভর্তুকি বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান শেখ হাসিনা।
ডলার সংকটের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সংসদ নেতা জানান, আমদানি বাড়ায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে চাপ পড়েছে। তবে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি বেশি হওয়ায় শিগগিরই এর সুফল মিলবে বলেও জানান তিনি।
আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়া বৈদেশিক মুদ্রার মজুতে কিছুটা টান পড়েছে জানিয়ে তিনি বলে, এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। ব্যবসা বাণিজ্যের বিকাশে আগামী বাজেটে নেয়া নানা উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
পদ্মা সেতু নির্মাণ, এলডিসি উত্তরণ, ৫০ বিলিয়ন ডলারের রফতানি মাইলফলক অর্জনসহ অর্থনীতির নানা অগ্রগতি তুলে ধরেন সরকার প্রধান। অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় জানান, সবাইকে মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান।