ক্রিকেটে আরও প্রতিযোগিতা বাড়াতে চলতি বছরের শুরু থেকে প্রতি মাসের সেরা ক্রিকেটার ঘোষণা দিচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) প্রথম চার মাসে নির্বাচিত হন এশিয়ার চার ক্রিকেটার। এতদিন সে গৌরব শুধু উপমহাদেশের থাকলেও এবার সেটা বাংলাদেশেরও। কেননা গত মে মাসের ‘প্লেয়ার অব দ্য মান্থ’ পুরষ্কার জিতে নিয়েছেন মুশফিকুর রহিম।
মে মাসে খুব বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ না থাকায় গত মাসে ২৭ তারিখ শুরু হওয়া বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা টেস্ট ম্যাচও হিসেবে নেয় আইসিসি। তাই মনোনয়নে মুশফিক ও পাকিস্তানের হাসান আলির পাশাপাশি জায়গা হয় শ্রীলঙ্কান জয় বিক্রমাও। তবে শেষ পর্যন্ত সেরা হিসেবে মুশফিককেই বেছে নিয়েছে আইসিসি৷
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে দুই ইনিংস মিলে ১১ উইকেট নিয়ে মনোনয়ন পেয়েছিলেন জয়াবিক্রম। অন্যদিকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের দুই ম্যাচে দুই ফাইফার তথা ৫ উইকেটসহ মোট ১৪ উইকেট নিয়েছিলেন পাকিস্তানি পেসার হাসান আলি।
তবে মুশফিকের এক টেস্টে ৮০ রান শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ৭৯ গড়ে ২৩৭ রানকেই এগিয়ে রাখেন নির্বাচক ও ভোটাররা। সিরিজে প্রথম ম্যাচের ৮৪ রানের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ১২৫ রান করেন মুশফিক৷ দুই ম্যাচে সেরার পুরস্কারের পাশাপাশি জেতেন সিরিজ সেরার পুরস্কারও।
সেই পারফরম্যান্সের সুবাদেই বাংলাদেশের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে প্লেয়ার অব মান্থ নির্বাচিত হলেন তিনি। এর আগের চার মাসে এই পুরস্কার জিতেছেন যথাক্রমে রিশাভ পান্ত, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, ভুবনেশ্বর কুমার ও বাবর আজম। এবার এশিয়ার পঞ্চম ক্রিকেটার হিসেবে জিতলেন মুশফিক।
তাকে নির্বাচিত করার বিষয়ে আইসিসির ভোটিং একাডেমির প্রতিনিধি ভিভিএস লক্ষ্মণ বলেছেন, ‘শীর্ষ পর্যায়ে ১৫ বছর ধরে ক্রিকেট খেলার পরও মুশফিকের রান করার ক্ষুধা কমেনি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হোম সিরিজে সে তার অন্যতম সেরা ফর্মে ছিল। যা তার ধারাবাহিকতা অন্যতম উদাহরণ। তার পারফরম্যান্সের সুবাদেই ১৯৯৬ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। মিডলঅর্ডারে ব্যাটিং ও একসঙ্গে উইকেটকিপিং করাটা তার ফিটনেস ও স্কিলেরই পরিচায়ক।’