টস জিতে ব্যাট করতে নেমে রীতিমতো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল বাংলাদেশ দল। মাহমুদুল হাসান জয়, তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানদের শূন্য রানে আউট হওয়ার দিনে মাত্র ২৪ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল স্বাগতিকরা। সেখান থেকে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ক্রিকেট ইতিহাসে নতুন পাতা যোগ করলেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস।
বড় জুটি আগেও গড়েছেন মুশফিক-লিটনরা। গত বছর পাকিস্তানের বিপক্ষে দু’জন মিলে পঞ্চম উইকেটে যোগ করেন ২০৬ রান। এই তো এক ম্যাচ আগেই চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে চতুর্থ উইকেটে মুশফিক-লিটনের জুটির সংগ্রহ ছিল ১৬৫ রান। এর আগেও শতরানের জুটি গড়েছেন তারা।
তবে চট্টগ্রামে তাদের শক্ত ভিত গড়ে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও তামিম ইকবাল। এ দুজনের ১৬২ রানের উদ্বোধনী জুটির পর চতুর্থ উইকেটে ১৬৫ রান যোগ করেছিলেন লিটন-মুশফিক। কিন্তু এবারের পরিস্থিতি পুরোপুরি ভিন্ন।
মাত্র ২৪ রানে ৫ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর বুক চিতিয়ে লড়েছেন দুজনই। লঙ্কান বোলার-ফিল্ডারদের হতাশায় ডুবিয়ে এরই মধ্যে ষষ্ঠ উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটির রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন এ দুজন। শুধু তাই নয়, ২৫ রানের কমে ৫ উইকেট পতনের পর সর্বোচ্চ জুটির বিশ্বরেকর্ডও গড়েছেন তারা।
এতোদিন ধরে ২৫ রানের কমে ৫ উইকেট পতনের পর সর্বোচ্চ রানের জুটির রেকর্ড ছিল পাকিস্তানের ওয়ালিস ম্যাথিয়াস ও সুজাউদ্দিনের দখলে। দলীয় ২২ রানে ৫ উইকেট পড়ার পর তারা দুজন মিলে ১৯৫৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তৎকালীন ঢাকা স্টেডিয়ামে গড়েছিলেন ৮৬ রানের জুটি।
সেটি ছাপিয়ে এরই মধ্যে ২২৫ রানের জুটি গড়ে ফেলেছেন মুশফিক-লিটন। বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে ষষ্ঠ উইকেটে এটিই সর্বোচ্চ রানের জুটি। যা এখনও অপরাজিত। ২০০৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই কলম্বোতে ষষ্ঠ উইকেটে ১৯১ রান যোগ করেছিলেন মুশফিক ও মোহাম্মদ আশরাফুল। এবার লিটনকে নিয়ে সেই রেকর্ড ভাঙলেন মুশফিক।
এ দুজনের সামনে এখন রয়েছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যে কোনো উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটির রেকর্ড ভাঙার সুযোগ। ২০১৩ সালের গল টেস্টে আশরাফুল ও মুশফিক গড়েছিলেন ২৬৭ রানের জুটি। আর মাত্র ৪২ রান যোগ করলেই সেটিকে ছাড়িয়ে যাবেন মুশফিক ও লিটন।