ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাবন্দি লেখক মুশতাক আহমেদের (৫৩) ‘স্বাভাবিক’ মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, মুশতাকের মৃত্যু ন্যাচারাল (স্বাভাবিক মৃত্যু)। এর সঙ্গে অন্য কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। বুধবার (৩ মার্চ) বিকেলে মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় করা তদন্ত প্রতিবেদন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের কাছে জমা দেওয়া হয়। এই প্রতিবেদন সম্পর্কে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গণমাধ্যমকে একথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ আমি মন্ত্রণালয় থেকে বের হয়ে আসার সময় প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। পরে তা পড়ে বিস্তারিত বলতে পারব। ’ গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদ মারা যান। কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, মুশতাক আহমেদ সেদিন সন্ধ্যার দিকে কারাগারের ভেতর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে প্রথমে কারা হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানকার দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন। ২৬ ফেব্রুয়ারি ময়নাতদন্ত ও সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে পুলিশ তার মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় দুই সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। শুক্রবার রাতে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) এস এম তরিকুল ইসলাম ওই কমিটি গঠন করেন। দুই কার্যদিবসের মধ্যে এই কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। এ কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- গাজীপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াসিউজ্জামান চৌধুরী ও উম্মে হাবিবা ফারজানা। তিন দিনের মধ্যে বুধবার এই তদন্ত প্রতিবদেন জমা দেয় কমিটি।