আর দ্বিতীয় দিনে হ্যাটট্রিকের দেখা পেয়েছেন হাসান মুরাদ। তাকে সঙ্গ দিয়েছেন পেসাররা। টাইগার বোলারদের দাপটে উইন্ডিজ ব্যাটাররা দেখেছে নিজেদের দুর্দিন। আগের দিন ইনিংসের প্রথম ওভারেই অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটকে হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দ্বিতীয় দিনের সকালের প্রায় দুই সেশন ভেস্তে যায় বৃষ্টির কারণে। এরপর অবশ্য খেলা শুরু হলে বাংলাদেশের পেসাররা দেখান দাপট।
তাসকিন, হাসান মাহমুদ, শরিফুলদের তোপের মুখে স্কোরবোর্ডে ৪৫ রান উঠতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশে হারিয়ে বসে ৫ উইকেট। বল হাতে দ্বিতীয় দিনে দলকে প্রথম সাফল্য এনে দেন তাসকিন আহমেদ। ৭ রানে থাকা জশুয়া ড্রনকে মিরাজের হাতে ক্যাচ বানিয়ে ফেরান প্যাভিলিয়নে। এরপর ইনিংসের ৯ম ওভারে জর্ডান জনসনকে বোল্ড করে নামের পাশে উইকেট সংখ্যা ডাবল করেন হাসান মাহমুদ।
তাসকিন এরপরেই ওপেনার কিমানি মেলিয়াসকে ফেরান। দলীয় ৩৮ রানে ৪, ৪৫ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর অবশ্য জাস্টিন গ্রিভস আর ড্যানিয়েল বেকফোর্ডের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় দলটি।
এরপরেই হাসান মুরাদের ঝলক। ম্যাচের ২৮তম ওভারে ড্যানিয়েল বেকফোর্ড, নাভিন বিদাইসি এবং চাইম হোল্ডারকে পরপর ফিরিয়ে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন বাংলাদেশের এই স্পিনার। তার হ্যাটট্রিকের পরেই অবশ্য বাংলাদেশ কোচ ফিল সিমন্স ম্যাচ শেষ করে দেন।
পেসার নাহিদ রানা ও বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম ছাড়া উইকেট পেয়েছেন অন্য পাঁচ বোলার। ১.৪ ওভারে ১ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন হাসান মুরাদ। প্রথম শিকার ড্যানিয়েল বেকফোর্ড হয়েছেন এলবিডব্লু। এরপর নাভিন বিদাইসিকে বোল্ড করে বিদায় করার পর চাইম হোল্ডারকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন এই অফস্পিনার।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ নির্বাচিত একাদশের অন্য ৫টি উইকেট নিয়েছেন বাংলাদেশের তিন পেসার। হাসান মাহমুদ ৬ ওভারে ১৫ রানে ও তাসকিন ৫ ওভারে ২১ রানে নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। শরীফুল ইসলাম ৩ ওভারে ১২ রানে নিয়েছেন ১ উইকেট। নাহিদ রানা ৭ ওভারে ২৮ রানে দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন। তাইজুল উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ৪ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৭৩.২ ওভারে ২৫৩ (মুমিনুল ৩১, শাহাদাত ২৫, লিটন ৩১, জাকের ৪৮, মাহিদুল ৪১)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ নির্বাচিত একাদশ: ২৭.৪ ওভারে ৮৭/৯ (মেরিয়ুস ২৩, গ্রিভস ২০, বেকফোর্ড ১৯; হাসান মাহমুদ ২/১৫, তাসকিন ২/২১, শরীফুল ১/১২, হাসান মুরাদ ৩/১)।
ফল: ড্র।