রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে ৪ রানের হয়ে আসরের শুভসূচনা করেছিল পাঞ্জাব কিংস। কিন্তু পরের তিন ম্যাচে তারা হেরে যায় চেন্নাই সুপার কিংস, দিল্লি ক্যাপিট্যালস ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে। পরাজয়ের হ্যাটট্রিকটি আর বাড়তে দিলো না তারা।
শুক্রবার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ইন্ডিয়ানসকে রীতিমতো উড়িয়েই দিয়েছে পাঞ্জাব। যার সুবাদে তিন ম্যাচ পর মিলেছে জয়ের দেখা। অন্যদিকে পরপর দুই ম্যাচ হেরে গেলো মুম্বাই। সবমিলিয়ে দুই দলেরই অবস্থা সমান। কারণ দুই দলই পাঁচটি করে ম্যাচে জয় পেয়েছে দুইটিতে। আজকের ম্যাচে আগে ব্যাট করে ১৩১ রানের বেশি করতে পারেনি মুম্বাই। জবাবে অধিনায়ক লোকেশ রাহুল ও ক্রিস গেইলের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে মাত্র ১ উইকেট হারিয়েই ম্যাচ জিতে নেয় পাঞ্জাব। তখনও বাকি ছিল ইনিংসের ১৪টি বল।
১৩২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই ৫৩ রান করে ফেলে পাঞ্জাব। ইনিংসের অষ্টম ওভারে সাজঘরে ফেরার আগে ২০ বলে ২৫ রান করেন মায়াঙ্ক আগারওয়াল। দ্বিতীয় উইকেটে ইউনিভার্স বস ক্রিস গেইলকে নিয়ে পরের লড়াই শুরু করেন অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। দলের চাহিদা মোতাবেক নিজের স্বভাববিরুদ্ধ রয়েসয়ে ব্যাটিং করতে থাকেন গেইল। অপরপ্রান্তে রাহুল দিচ্ছিলেন ভরসার বার্তা।
রানের তেমন তাড়া না থাকায় ধীরেসুস্থেই খেলতে থাকেন দুজন। ইনিংসের ১৬তম ওভারে পূরণ হয় পাঞ্জাবের দলীয় শতরান। পরের ওভারে ব্যক্তিগত ফিফটি তুলে নেন অধিনায়ক রাহুল। ঠিক ৫০ বলে ৫০ রান করেন তিনি। যেখানে ছিল ২টি করে চার-ছয়ের মার। অধিনায়কের ফিফটির পর হুট করেই আক্রমণ শুরু করেন গেইল। ট্রেন্ট বোল্টের করা ১৮তম ওভারের প্রথম বলেই হাঁকান ছক্কা। জাসপ্রিত বুমরাহর আগের ওভারে মারেন একটি চার। যা বাড়িয়ে দেয় পাঞ্জাবের রানরেট ও পৌঁছে দেয় জয়ের দোরগোড়ায়।
বোল্টের প্রথম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে সিঙ্গেল নেন গেইল। তখন জয়ের জন্য বাকি ছিল ১০ রান। যা নিতে মাত্র দুই বল খরচ করেন রাহুল। ওভারের তৃতীয় বলে ছয় ও চতুর্থ বলে চার মেরে নিশ্চিত করেন দলের জয়। গেইল-রাহুলের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে আসে ৬২ বলে ৭৯ রান। শেষ পর্যন্ত রাহুল ৫২ বলে ৬০ ও গেইল ৩৫ বলে ৪৩ রানে অপরাজিত থাকেন। মুম্বাইয়ের পক্ষে একমাত্র উইকেটটি নেন রাহুল চাহার। তার ৪ ওভারে খরচা মাত্র ১৯ রান।
এর আগে চেন্নাইয়ের চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে পাঞ্জাব কিংসের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৬ উইকেটে ১৩১ রানেই আটকে যায় রোহিত শর্মার মুম্বাই। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ধুঁকছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। প্রথম ৭ ওভারে কুইন্টন ডি কক (৩) আর ইশান কিশানকে (৬) হারিয়ে তারা তুলতে পারে মাত্র ২৬ রান। তৃতীয় উইকেটে ৫৫ বলে ৭৯ রানের জুটিতে সেই ধাক্কা বেশ সামলে উঠেছিলেন রোহিত শর্মা আর সূর্যকুমার যাদব।
কিন্তু ওভার যে খরচ হয়ে গেছে আগেই, চাপটা মাথায় ছিল তাদেরও। সেই চাপে টানা দুই ওভারে দুই সেট ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফেরত যান। সূর্য ২৭ বলে করেন ৩৩, রোহিত ৫২ বলে ৬৩। পরের ব্যাটসম্যানরা আর বলার মতো কিছু করতে পারেননি। হার্দিক পান্ডিয়া ১, ক্রুনাল পান্ডিয়া ৩ রানে ফেরেন। পোলার্ড অপরাজিত থাকেন ১২ বলে ১৬ রান নিয়ে।
পাঞ্জাবের বোলারদের মধ্যে ৪ ওভারে সমান ২১ রান করে দিয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ শামি আর রবি বিষ্ণুই।