মুন্সীগঞ্জে সালিশ বৈঠকে ছুরিকাঘাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩ জনে দাঁড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পৌর নির্বাচনের পরাজিত কমিশনার প্রার্থী আওলাদ হোসেন মিন্টু (৪০) মারা গেছেন। এর আগে সালিশ বৈঠকে ছুরিকাঘাতে দুই যুবক নিহত ও একজন গুরুতর আহত হয়। বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে শহরের উত্তর ইসলামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- উত্তর ইসলামপুর গ্রামের কাসেম পাঠানের ছেলে ইমন পাঠান (২৩) ও বাচ্চু মিয়ার ছেলে সাকিব মিয়া (১৯)। গুরুতর আহত গত পৌর নির্বাচনের পরাজিত কমিশনার প্রার্থী আওলাদ হোসেন মিন্টুকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ পাঁচজনকে আটক করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ইভটিজিংয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইমন পাঠান একই এলাকার অভিকে থাপ্পড় মারে। পরে ইমন পাঠান পক্ষের বড়ভাই মিন্টু আবারও অভিকে ডেকে নিয়ে থাপ্পড় মারে। এই ঘটনা নিষ্পত্তির জন্য রাত ১১টার দিকে মিন্টুর বাড়ির সামনে সালিশ বৈঠক বসে।
বৈঠকে বিষয়টি মীমাংসা হয়ে যাচ্ছিল। এ সময় অভি গ্রুপের লোকজন হঠাৎ তিনজনকে ছুরিকাঘাত করে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় আশপাশের লোকজন তাদের মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে ইমন পাঠানকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। গুরুতর অবস্থায় সাকিব মিয়া ও আওলাদ হোসেন মিন্টুকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে নেওয়ার পর সাকিব মিয়াকে মৃত ঘোষণা করা হয়। মুন্সীগঞ্জ থানার ওসি মো. আবু বকর সিদ্দিক জানান, সৌরভ, অভি ও শামীম গ্রুপ এই হামলার সঙ্গে জড়িত। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।