বিশ্বকাপ ফুটবলের বাছাইয়ে গ্রুপের শেষ তিন ম্যাচ খেলতে গতকাল দুপুরে কাতার গেছে জাতীয় ফুটবল দল। যাওয়ার আগে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে ফুটবল দলকে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন হবে, কোচ, খেলোয়াড় সর্বশেষ প্রস্তুতির কথা তুলে ধরবেন সংবাদমাধ্যমের কাছে। সংবাদমাধ্যমও দল নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো জানতে চাইবে। দেশবাসীও সংবাদমাধ্যমকে জানাতে পারবে। এসব চিরায়িত নিয়ম। দেশের জাতীয় ফুটবল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলায় অংশগ্রহণ করবে অথচ আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন হবে না, কথা বলতে দেওয়া হবে না। ফুটবলে এমন নজির বিরল। মুখে তালা দিয়ে জামাল ভুঁইয়ারা কাতারে।
এবারের মতো ফুটবল দল এতটা ভাঙা মন নিয়ে কখনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে যায়নি। প্রতিপক্ষ দলগুলো যখন কড়া প্রস্তুতির ডালি সাজিয়ে বসছে তখন বাংলার ফুটবলাররা একের পর এক হতাশার খবর শুনে শুনে হতাশা জমিয়েছে। অথচ কাতার গিয়ে কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা শুনে চাঙ্গা হয়েছিলেন খেলোয়াড়রা। কাতারে যাওয়ার মুখরোচক গল্পের শেষ না হতেই সামনে এসেছিল সৌদি আর গিয়ে প্রস্তুতি নেওয়ার নতুন স্বপ্ন। সময়ের ব্যবধানে সেটিও মুখরোচক গল্পে পরিণত হয়।
শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে জাতীয় দল, সেখানেও সাংবাদিকদের প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া হলো। এমনকি দেশ ছাড়ার আগে জাতীয় দলকে সংবাদমাধ্যমের সামনে আসতে দেওয়া হলো না। বাফুফে যতটুকু তথ্য দেবে তার মধ্যেই সীমবদ্ধ থাকতে হবে সংবাদমাধ্যমকে। সেখানে অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়া বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করব যেন দেশবাসী প্রাউড হয়।’
সবকিছু জেনেও ফুটবলের টানে সংবাদমাধ্যম ছুটে গিয়েছিল বিমানবন্দরে। নাছোড়বান্দা এই সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে বারান্দায় দাঁড়িয়ে খেলোয়াড়রা এক পশলা কথা বলার সুযোগ পান। আগামী ৩ জুন আফগানিস্তান, ৭ জুন ভারত এবং ১৫ জুন ওমানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ই গ্রুপের ম্যাচ।