শনিবার জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে নাগরিক সংগঠন প্রত্যাশা ২০২১ ফোরামের আয়োজনে “মুক্তিযুদ্ধের মহানায়কের স্মরণে” শীর্ষক স্মরণ সভা, বিকাল ৪ টায় অনলাইন প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতে ১৫ আগষ্ট ১৯৭৫ সালে ঘাতকের বুলেটে নিহত শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবে প্রার্থনা করা হয়। স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রত্যাশা ২০২১ ফোরামের চেয়ারম্যান এস এম আজাদ হোসেন। সংগঠনের সদস্য সচিব রুহি দাস এর সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সচিব ও হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ল্ডের কান্ট্রি ডিরেক্টর আতাউর রহমান মিটন।
বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক ও অবিচ্ছেদ্য। আয়োজিত এই স্মরণ সভায় আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূত ও প্রত্যাশা ২০২১ ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মসয়ূদ মান্নান, বাংলাদেশ টেলিভিশনের সাবেক মহাপরিচালক বিশিষ্ট সংস্কৃতিজন ম হামিদ, নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন, শহীদ কর্ণেল আবদুল কাদিরের ছেলে প্রখ্যাত সাংবাদিক নাদিম কাদির। এছাড়াও আলোচনায় অংশ নেন প্রত্যাশা ২০২১ ফোরামের কার্যনির্বাহী সদস্য শামসুন নাহার আজিজ লীনা, ফোরাম এর ভাইস চেয়ারম্যান শামছুন নাহার কোহিনুর, ফোরাম সদস্য রুহুল ইসলাম টিপু, খুলনা মহানগর নিসচা সভাপতি ইকবাল কবির বিপ্লব, চাঁদপুর নিসচা সাধারণ সম্পাদক শেখ মহিউদ্দিন রাসেল।
বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হিমালয়ের সাথে তুলনা করা হয়। তিনি নিজে স্বপ্ন দেখেছেন, জাতিকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন। হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার মত তিনি মুক্তি সংগ্রামের ডাক দিয়ে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করেছেন। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান আমলে ২৩ বছরের মধ্যে ১২ বছর জেল খেটেছেন। জেলে থেকেও তিনি অন্য সতীর্থদের খেয়াল রেখেছেন সেখানেও তিনি জনপ্রিয় হয়ে উঠেন। বঙ্গবন্ধু বলতেন, ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়েও আমি বলব, আমি মানুষ, আমি বাঙ্গালী, আমি মুসলমান। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবার দেশের মানুষের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে গেছেন এবং যাচ্ছেন। আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক ও দেশীয় ষড়যন্ত্রকারীদের কারণে বিপথগামী কিছু মানুষের হাতে বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে হত্যার শিকার হোন। বঙ্গবন্ধু যদি বেঁচে থাকতেন আমরা ২৫ বছরে যা পেতাম তা ৫০ বছর পরে পাওয়া শুরু করেছি। তিনি সারাজীবন ত্যাগ স্বীকার করেছেন। দেশের জন্য তিনি আপোষ করেননি যার কারণে তাঁকে ক্ষত বিক্ষত করে হত্যা করা হয়েছে। বক্তারা বলেন, আসুন সকলে মিলে একসাথে ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও দুর্নীতিমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলি, ঐক্যবদ্ধভাবে মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন করি। প্রতিটি ঘরে ঘরে শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে এগিয়ে যাই স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনে।