অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের পরিচালন পর্ষদের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বিএসএস)-র সাবেক চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ.আ.ম.স. আরেফিন সিদ্দিক, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর-এর ট্রাস্টি ও বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব জনাব মফিদুল হক এবং বিশিষ্ট চলচ্চিত্রকার ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব জনাব মোরশেদুল ইসলাম।
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সরাসরি অংশগ্রহণে নির্মিত চলচ্চিত্রটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন স্বনামধন্য অভিনয় শিল্পী ও আবৃত্তিকার চিত্রলেখাগুহ, সম্পাদনা করেছেন চলচ্চিত্র শিক্ষক চৈতালী সমাদ্দার, চিত্রধারণ করেছেন জনাব শওকত হোসেন খান, সংগীত যোজনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সাঈম রানা, এবং শব্দ-পরিকল্পনা ও যোজনা করেছেন জনাব শাকির আহমেদ অন্তু।
মুক্তিযুদ্ধের পূর্ণদৈর্ঘ্য এই প্রামাণ্যচিত্রে বাঙালি জাতির মুক্তিসংগ্রাম পর্বে ভাষা আন্দোলন থেকে ১৯৭০ সালের নির্বাচন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য গড়াই নদীর তীরবর্তী জনসাধারণের মানসিক প্রস্তুতি ও প্রাথমিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ, নিরীহ জনসাধারণের ওপর ২৫শে মার্চে পাকিস্তানি বাহিনীর আক্রমণ ও জনতার স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিরোধ, পাকিস্তানি বাহিনীকে পরাজিত করে কুষ্টিয়ায় প্রথম মুক্তাঞ্চল প্রতিষ্ঠা, স্বদেশের মাটিতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথ গ্রহণ, দেশের এই প্রত্যন্ত অঞ্চলে যুদ্ধের অভিঘাত, নিপীড়িত মানুষের মধ্যকার সংহতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ, পাকিস্তানি বাহিনীর নৃশংস গণহত্যা ব্যাপক অগ্নিসংযোগ লুটতরাজ ও নারীদের অসম্মান, জনসাধারণের ব্যাপক দেশত্যাগ, ছাত্র যুবক জনসাধারণের গেরিলা যুদ্ধের সামরিক প্রশিক্ষণ ও কৌশল গ্রহণ, অস্ত্রসংগ্রহ, স্থানীয় বাহিনী সংগঠন ও যুদ্ধে সর্বাত্মক অংশগ্রহণ, যুদ্ধে বাঙালির মরণপণ লড়াই ও পাকিস্তানি বাহিনীকে নাজেহাল করে তোলা, ভূ-রাজনৈতিক কৌশলে গড়াই নদীকে যুদ্ধের হাতিয়ারে পরিণত করা এবং মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত পর্বে মিত্রবাহিনীর সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এ অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধা ও আপামর জনসাধারণের পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখযুদ্ধের রণাঙ্গনে অংশগ্রহণ ও চরম আত্মত্যাগের বিনিময়ে বিজয় অর্জনের বিশ্বস্ত দলিল উপস্থাপন করা হয়েছে।