জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠান আয়োজন নিয়ে গত ৯ অক্টোবর প্রশাসনের অফিস আদেশকে প্রশাসনের হঠকারী, আগ্রাসনমূলক ও সাংস্কৃতিক কর্মী এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য অবমাননাকর মনে করে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদ।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক রায়হান শরীফের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিবৃতিতে প্রতিবাদ জানান সংগঠনের আহ্বায়ক আলিফ মাহমুদ ও যুগ্ম আহ্বায়ক হাসিব জামান।
বিবৃতিতে আলিফ মাহমুদ ও হাসিব জামান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই মন্তব্য অত্যন্ত শিশুসুলভ এবং অগণতান্ত্রিক। অনুষ্ঠানের নিয়ম কানুন তৈরির ব্যাপারে প্রশাসনের এহেন সিদ্ধান্ত শুধু মৌলবাদী ও স্বৈরাচারীই নয়, একই সাথে কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্রেরও অনুকরণ এখানে স্পষ্ট। আপাত শিক্ষার্থী প্রীতির আড়ালে, এই সিদ্ধান্তের পিছনে প্রশাসনের যে সংস্কৃতিবিরোধি অপপ্রয়াস আছে, সেটা খুবই নাক্কারজনক। এর জবাবদিহিতা অবশ্যই তাদের করতে হবে।’
এছাড়াও তারা দাবি করেছেন, সংস্কৃতির নগরী বলে খ্যাত, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে নিরাপত্তার নামে কালাকানুনের আওতায় আনার চক্রান্ত নতুন কিছু নয়। সচেতন ও প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের সাথে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদ সব সময় এই চক্রান্তকে রুখে দিয়েছে, এবারও তার ব্যতিক্রম কিছু হবেনা। আমরা বিধিনিষেধের অযাচিত এই বিজ্ঞপ্তিকে প্রত্যাখানপূর্বক, প্রশাসনের ফ্যাসিবাদী ভাষা ব্যবহারকে নিন্দাজ্ঞাপন করছি। এর সাথে সাথে আহ্বান করছি, প্রশাসন যেন অবিলম্বেই এই হঠকারী সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে।
উল্লেখ্য, গত ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের বিশেষ সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। সেখানে এলামনাই এসোসিয়েশনের অনুষ্ঠান তিন বছরে একবার আয়োজন করতে পারবে, বিভিন্ন ব্যাচের (সাবেক/বর্তমান) রিইউনিয়ন অনুষ্ঠান করা যাবেনা এবং রাত ১০টার পর অনুষ্ঠান করলে, বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে সংশ্লিষ্ট সংগঠনকে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে, পরবর্তীতে তারা অনুষ্ঠান করার অনুমতি পাবেনা। গত ৯ অক্টোবর এই মর্মে অফিস আদেশ দেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।