রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে বান্দরবানের তুমব্রু বিজিবি ক্যাম্পে আশ্রয় নেন তারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মিয়ানমারে সীমান্তবর্তী ক্যাম্প দখলকে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হচ্ছে। শনিবার বিকেল থেকে থেমে থেমে গোলাগুলি হচ্ছিল। রোববার ভোর থেকে আবার লাগাতার গোলাগুলি, মার্টারশেল নিক্ষেপ ও রকেট লান্সার বিস্ফোরণে, বিকট শব্দে কেপে উঠছে সীমান্তবর্তী নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রুর বিস্তীর্ণ এলাকা। শুধু তাই নয় গুলির শিষা ও রকেট লঞ্চার উড়ে এসে পড়ছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে। তাদের ছোড়া গুলিতে এক বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। এছাড়া, ঘুমধুম-তুমব্রু এলাকায় বসত বাড়িতে এসব এসে পড়ছে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী। আতঙ্ক, উৎকণ্ঠায় দিন পার করছেন তারা। ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠাতেও পারছেন না অভিভাবকরা। এছাড়াও কৃষকরা কৃষি ক্ষেতে যেতে ও দৈনন্দিন কাজে যেতে ভয় পাচ্ছেন তারা।
তুমব্রু এলাকার বাসিন্দা রূপলা ধর নামে একজন জানান, সকাল ৮টা থেকে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ হচ্ছে। অনেক ভয় হচ্ছে, কখন কোন সময় কী হয়, তা আমরা বুঝতে পারছি না।
তিনি আরও বলেন, আমাদের পাশের এলাকার এক ঘরের চালের উপর বিস্ফোরিত রকেট লান্সার এসে পড়েছে শুনেছি। অনেকের উঠানে গুলিও এসে পড়ছে। এ ঘটনায় ঘরের বাহিরে যেতেও ভয় হচ্ছে।
ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, ভোর থেকে মিয়ানমার সীমান্তের অভ্যন্তরে ব্যাপক গোলাগুলি হচ্ছে। এতে বিকট শব্দে কেপে উঠছে, ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তবর্তী এলাকা। এলাকাবাসীদেরকে বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের না হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এদিকে, গোলাগুলি ও সংঘর্ষে প্রাণহানির শঙ্কায় মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ বিজিপির ১৪ জনেরও বেশি সদস্য বাংলাদেশের ভূখণ্ডে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের ঘুমধুম বিজিবি ক্যাম্পে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ আল আশরোকি বলেন, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে আজ দিবাগত রাত থেকে তুমুল যুদ্ধে প্রাণ বাঁচাতে কিছু সংখ্যক মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর (বিজিপি) সদস্য বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশে চেষ্টা করলে বিজিবি সদস্যরা নিরাপত্তার সঙ্গে তাদেরকে ঘুমধুম সীমান্ত বিওপিতে রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।