মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ১৮ জন ভিন্ন ভিন্ন সময়ে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। এর আগে দুই দিনে আরও ১৬ জন সদস্য পালিয়ে আসেন।
এই কর্মকর্তা বলেন, মঙ্গলবার সকালে রেজুপাড়া সীমান্ত দিয়ে দুইজন এবং জমছড়ি সীমান্ত দিয়ে ১০ জন প্রবেশ করেন। এরপর দুপুরে বাইশফাড়ি সীমান্ত দিয়ে আসেন আরও একজন। সবশেষ বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জমছড়ি সীমান্ত দিয়ে আরও পাঁচজন প্রবেশ করেন। এই ১৮ জনের মধ্যে বিজিপির ছাড়াও সেনা সদস্য রয়েছেন।
শরীফুল ইসলাম বলেন, কোন বাহিনীর কত জন সদস্য তা এখন বলা যাচ্ছে না। এদের কাছ থেকে অস্ত্র জমা নিয়ে বিজিবি তাদের হেফাজতে নিয়েছে। এদের এখন নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে ১১ বিজিবির হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এর আগে সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশফাড়ি সীমান্ত দিয়ে দুই সেনা সদস্য পালিয়ে আসেন। এর আগে রোববার (১৪ এপ্রিল) টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে আসেন বিজিপির ১৪ জন সদস্য।
নতুন করে আসা ৩৪ জনকেই নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে ১১ বিজিবির হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে আগে থেকে ১৮০ জন আশ্রিত রয়েছেন। এ নিয়ে মোট ২১৪ জন সেখানে রয়েছেন।
আগে থাকা ১৮০ জনের মধ্যে গত ৩০ মার্চ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তিনজন সদস্য নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। এর আগে ১১ মার্চ আশ্রয় নেন আরও ১৭৭ জন বিজিপি ও সেনা সদস্য।
এর আগে কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন আরও ৩৩০ জন। যাদের গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।