সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে এই হামলা চলছে। এদিকে আরাকান আর্মিও পাল্টা গুলি ছুঁড়ছে। এ বিষয়ে নিশ্চিত করেন ঘুমধুম পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ (এসআই) মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঁইয়া।
বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন বলেন, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে সীমান্তে বসবাসকারী জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়ে আনতে কাজ করছে। সীমান্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে এলাকায় অধিক সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন ও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। তিনি বলেন, কোনোভাবেই যেন বহিরাগত নাগরিক অনুপ্রবেশ করতে না পারে সে দিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখছে পুলিশ প্রশাসন।
এসআই মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঁইয়া বলেন, এপারের সীমান্ত ঘেষা স্থানীয়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং পুলিশ।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা বিজিপি’এর ৯৫ জন সদস্যের মধ্যে গোলাগুলিতে আহত ১৫ জনের মধ্যে ৯ জনকে কক্সবাজার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। অন্যদের তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাখা হয়েছে।
বিজিবির গণ সংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম বলেন, অস্ত্রসহ বাংলাদেশে প্রবেশ করা বিজিপি সদস্যদের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয় দিয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
পরিস্থিতি বিবেচনায় মিয়ানমারের সঙ্গে থাকা গোটা সীমান্ত এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বিজিবি। কক্সবাজার ও বান্দরবান পুলিশকেও সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।
এদিকে বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, সীমান্ত ঘেষা গ্রামের লোকজনদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জনসাধারণের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে।