রোজা গেলে বুঝতে পারবেন আন্দোলন কাকে বলে। বিএনপির আন্দোলন কোন ঈদের পরে- তথ্যমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের প্রসঙ্গে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, যারা বলে বিএনপি আন্দোলন কোন ঈদের পরে, তাদেরকে বলতে চাই তারিখ দিয়ে আন্দোলন হয় না।
তিনি বলেন, আমাদের আন্দোলন চলছে। হয়তো সাময়িক বিরতি আছে। শুক্রবার (২২ এপ্রিল) রাজধানীর লেডিস ক্লাবে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ) আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জেডআরএফের প্রেসিডেন্ট তারেক রহমান।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ক্ষমতাসীন সরকার দেশের মানুষের কথা বলাসহ সব অধিকার কেড়ে নিয়ে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। সরকার আমাদের অধিকার কেড়ে নিয়ে সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। এমতাবস্থায় গণতন্ত্র রক্ষা ও পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে দলমত নির্বিশেষে সকল পেশাজীবীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, মার্কিন মানবাধিকার রিপোর্টে দেশের আসল চরিত্র তুলে ধরা হয়েছে। দেশে মানুষের বাক স্বাধীনতা ও আইনের শাসন খর্ব করা হয়েছে সেগুলো বলা হয়েছে। দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করে কারাবন্দি করা হয়েছে। দেশে আইনের শাসন নেই। বিচার ব্যাবস্থা ভেঙে পড়েছে। সরকার অন্যায়ভাবে নির্যাতন নিপীড়ন করছে। আর সরকার মার্কিন মানবাধিকার রিপোর্ট নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিচ্ছে।
জেডআরএফের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে ও জেডআরএফের ইফতার মাহফিল উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ডা. পারভেজ রেজা কাকনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইফতার মাহফিল উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. মোর্শেদ হাসান খান, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার, প্রেস উইংয়ের শায়রুল কবির খান, শামসুদ্দীন দিদার প্রমুখ।