বিপিএলের এবারের আসরে সিলেট স্ট্রাইকার্সের প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে খেলেছেন মাশরাফি। সেই ম্যাচে তিনি বল করেছেন ২.৩ ওভার, ২৫ রান দিয়ে পেয়েছেন একটি উইকেট। এরপর গতকাল দ্বিতীয় ম্যাচেও তিনি খেলেছেন। তবে বল করেননি এক ওভারও। ব্যাটিংয়ে তিন নম্বরে নেমে ৭ বলে ৬ রান করে আউট হন তিনি।
আশরাফুলের মতে এভাবে মাশরাফিকে খেলিয়ে বিপিএলের মত টুর্নামেন্টকে ছোট করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘মালিকরা চাচ্ছে সে মাঠে দাঁড়িয়ে থাকুক। এটা আমার মনে হয় এই টুর্নামেন্টটাকে ছোট করা হচ্ছে। কারণ এই ধরণের টুর্নামেন্ট পুরো বিশ্বজুড়ে দেখছে। এখানে আমাদের আগামীর খেলোয়াড় আসবে। ছয়মাস পর আমাদের বিশ্বকাপ। তাদের দলে কিন্তু রেজাউর রহমান রাজা বসে আছে। যার একটা সুযোগ ছিলো এই টুর্নামেন্টে ভালো করলে বিশ্বকাপে সম্ভাবনা থাকত।’
আশরাফুল আরও বলেন, ‘ক্যাপ্টেন ফ্যান্টাসটিক আমরা তার নাম দিয়েছি, অসাধারণ লিডার। সে সবার কথা শুনে, খেলাটা ভালো বুঝে। কিন্তু অধিনায়ক যদি নিজে পারফর্ম করে নেতৃত্ব দেওয়া সহজ হয়। আট মাস সে ক্রিকেটের বাইরে ছিল, নির্বাচনের জন্য ব্যস্ত ছিল। একদিন মনে হয় অনুশীলনে এসেছিল বল করেছিল কিনা জানি না।’
এদিকে গতকাল সিলেটের হারের পর এ ব্যাপারে জানতে চাও্যা হয়েছিল মাশরাফির কাছেও। জবাবে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আমি যেটা মনে করছি আদর্শ পরিস্থিতি না (খেলাটা)। আর কে খেললে কে ভালো হতো এটা দলের বিষয়। ওকে (রাজা) না খেলিয়ে আরেকজনকে খেলাতে পারত, সেটা ভিন্ন জিনিস। কে খেললে কে ভালো হতো এটা তো দল কারো সঙ্গে আলোচনায় বসবে না বা করবে না। কিন্তু যেটা আপনি বলছেন আদর্শ পরিস্থিতি হচ্ছে ওইটাই হওয়া উচিত (তার বদলে তরুণদের খেলানো)।’
এদিকে মাশরাফির খেলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সাবেক সতীর্থ সৈয়দ রাসেলের তোপের মুখে পড়েছেন আশরাফুল। এক সময় নড়াইল এক্সপ্রেস এবং রাসেল মিলেই টাইগারদের পেস অ্যাটাক সামলাতেন।
মাশরাফিকে নিয়ে প্রশ্ন তোলার পর এক ফেসবুক পোস্টে আশরাফুলকে নিয়ে রাসেল বলেন, ‘লাস্ট কয়েক বছর প্রিমিয়ার লিগে বলেন আর বিপিএল বলেন, খেলার জন্য এহেন কোন কাজ নেই, যেটা আশরাফুল করে নাই। লাস্ট প্রিমিয়ার লিগে তো মোহামেডানে আশরাফুল কে ম্যাচ খেলানো হয়নি বলে মাঠ ছেড়ে বাড়ি চলে যাওয়ার ঘটনা ঘটিয়েছিল।’
রাসেল আরও বলেন, ‘নিজের রান করার জন্য টিম কে ডোবানোর রেকর্ড তো আশরাফুলের থেকে বেটার আর কেউ নেই বাংলাদেশে।’