মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে রোহিঙ্গাদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবে অন্তত ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে তারা নৌকায় করে পালিয়ে যাচ্ছিলেন। চলতি সপ্তাহে এ ঘটনা ঘটেছে বলে বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন উদ্ধারকারীরা।
সিতওয়ে শহরের শ্বে ইয়াং মেটা ফাউন্ডেশনের একজন উদ্ধারকারী বায়ার লা বলেন, ‘রোববার রাতে সাগরে যান্ত্রিক সমস্যায় পড়ে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করা নৌকাটি। এতে ৬০ জন বেশি লোক ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
বিবিসি জানিয়েছে, এ ঘটনায় আরও ৩০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফিরেছেন আটজন।
বায়ার লা বলেন, আটজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে গেছে।’ উদ্ধারকারীরা এখনো বাকিদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন।
বেঁচে ফেরা ব্যক্তিরা বলছেন, তারা সাগরপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তাদের নৌযানে ৫০ জনের মত ছিলেন। কিন্তু রোববার নৌযানটির ক্রুরা যাত্রীদের ফেলে সরে যায়।
মিয়ানমারে জাতিগত নিধনের শিকার সংখ্যালঘু হাজারো রোহিঙ্গা প্রতিবছর উত্তাল সাগরপথে বিপজ্জনক পথ পাড়ি দিয়ে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় যাওয়ার চেষ্টা করে।
উদ্ধারকারী একটি দল বিবিসিকে বলেছে, এ সপ্তাহে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে ডুবে মারা যাওয়াদের মধ্যে ১৩ জন নারী ও ১০ জন পুরুষ, যারা সকলেই রোহিঙ্গা মুসলিম।
মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর গণহত্যা ও নির্যাতনের শিকার হয়ে ২০১৭ সালে ঘরবাড়ি ছেড়ে লাখ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে। যেসব রোহিঙ্গা মিয়ানমারে রয়েছেন, ২০২১ সালে দেশটিতে সেনাঅভ্যুত্থানের পর থেকে তারাও পালিয়ে অন্যদেশে আশ্রয় নেওয়ার পথ খুঁজছেন।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার তথ্যানুযায়ী, মালয়েশিয়া-ইন্দোনেশিয়া যাওয়ার চেষ্টায় অন্তত ৩৪৮ জন রোহিঙ্গা গত বছর সমুদ্রে মারা গেছেন বা নিখোঁজ হয়েছেন।