বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেন, যখন ২০০৭ সালে বাংলাদেশে আসি, তখন এতো উন্নত ছিল না। দেশের অবকাঠামো অনেক উন্নত হয়েছে। আমি গুলশান বনানীর ছবি ছেলেদের পাঠিয়েছিলাম। তারা ছবি দেখে নিউইয়র্ক ভেবেছিল।
২২ নভেম্বর সোমবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এলডিসি গ্রাজুয়েশন মোকাবিলায় নিয়ে আয়োজিত এক সংলাপে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন মার্সি টেম্বন। টেম্বনের চার ছেলে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন। এর মধ্যে একজন নিউইয়র্কে। মার্সি টেম্বন বলেন, গুলশান-বনানীতে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। তবে, এ উন্নয়ন রংপুর, ময়মনসিংহ, খুলনায় দেখতে পাই না। গুলশান-বনানীর মতো দেশের অন্যান্য স্থানে অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
টেম্বন বলেন, এ দেশের বয়স ৫০ বছর, এটা কম সময় নয়। এই সময়ে বাংলাদেশের অনেক সফলতার সঙ্গে ব্যর্থতা আছে। বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের সফলতার সঙ্গী হতে চায়। অনেক কিছু করার আছে। বর্তমানে তৈরি পোশাক, রেমিট্যান্স খাতে বাংলাদেশ ভালো করছে। এর পাশাপাশি জুতা ও চামড়া শিল্পে বাংলাদেশ অনেক ভালো করতে পারবে।
মার্সি টেম্বন বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু ঝুঁকিতে রয়েছে। ক্লাইমেট চেঞ্জের কারণে খাদ্য ঝুঁকি দেখা দিতে পারে। তবে, বাংলাদেশ ঝুঁকি মোকাবিলায় অনেক সফল। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ উপকূলে ছোট ছোট খাদ্য সংরক্ষণাগার (সাইলো) নির্মাণ করেছিল। কিন্তু এখন দেখতে পাচ্ছি বড় বড় সাইলো।
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের (সিজিএস) চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংলাপ অংশ নেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, বিএনপি নেতা ড. আব্দুল মঈন খান, সাবেক মন্ত্রী শেখ শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।