মার্কিন ফেডারেল কোর্টে এই প্রথম একজন বাংলাদেশি আমেরিকান জজ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। তার নাম নূসরাত জাহান চৌধুরী (৪৪)। বেশ ক’বছর থেকেই আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নের আইনগত পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ইউএস সিনেটের লিডার এবং নিউইয়র্ক থেকে নির্বাচিত সিনেটর (ডেমক্র্যাট) চাক শ্যুমারের সুপারিশে নূসরাত চৌধুরীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। একইসাথে জেসিকা ক্লার্ক (৩৮) এবং নীনা মরিসন (৫১) নামের আরও দুই নারীকে ইউএস ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্ট এবং সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের জজ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
নিয়োগপ্রাপ্ত তিনজনেরই প্রগতিশীল চিন্তা-চেতনায় উজ্জীবিত বলে সর্বত্র পরিচিতি রয়েছে। সিনেটরের অফিস থেকে ১ সেপ্টেম্বর এ তথ্য জানানো হয়েছে এ সংবাদদাতাকে। এ সময় প্রদত্ত এক বিবৃতিতে চাক শ্যুমার বলেছেন, নূসরাত ইতিহাস সৃষ্টি করলেন বাংলাদেশি হিসেবে এবং দ্বিতীয় মুসলিম জজ হিসেবে-যিনি ফেডারেল কোর্টে বসবেন। মানবাধিকার এবং নাগরিক অধিকার সম্পর্কিত আইনে সম্যক ধারণা রাখা নূসরাত ইতিমধ্যেই নিজের বিচক্ষণতা প্রদর্শনে সক্ষম হয়েছেন। একেবারেই শেকড় থেকে অপরাধের ধরণ নির্ণয় এবং অপরাধীকে যথাযথ শাস্তি প্রদানে তার এই অভিজ্ঞতা বিচার ব্যবস্থাকে স্বচ্ছ রাখতে অপরিসীম ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছি।
ফেডারেল কোর্টের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখতে এই তিন নারীর নিয়োগ বিভিন্ন মহল থেকে অভিনন্দিত হচ্ছে। তিনজনেরই নাম প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দফতরে প্রেরণ করা হয়েছে একইসাথে। নূসরাত চৌধুরী মূলত ইলিনয় স্টেটে আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নের এটর্নি হিসেবে কর্মরত রয়েছেন গত বছর থেকে। মানবাধিকার এবং নাগরিক স্বাধীনতার প্রশ্নে ন্যায়-বিচার নিয়ে কর্মরত ২০ জন এটর্নির একটি টিমের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন নূসরাত।
এর আগে আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নের ন্যাশনাল অফিসে বর্ণ-বিচার বিষয়ক প্রোগ্রামের ডাইরেক্টর ছিলেন ২০০৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত। এই নাগরিক অধিকার সংস্থায় সারা আমেরিকায় কর্মরত সকল এটর্নির মধ্যে নূসরাতকে শীর্ষ স্থানীয় তিনজনের একজন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আরও উল্লেখ্য, নূসরাত চৌধুরী গ্র্যাজুয়েশন করেছেন বিশ্বখ্যাত ইয়েল ল’ স্কুল থেকে। সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নে যোগদানের আগে নূসরাত নিউইয়র্ক সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের ক্লার্ক এবং সেকেন্ড সার্কিট ইউএস কোর্ট অব আপিলের জজ ব্যারিঙ্গটন পার্কারের সাথেও কাজ করেন।