মার্কিন কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধিদল ঢাকায় এসেছেন। ফলে আজ রোববার (১৩ আগস্ট) থেকে তাদের সফরের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু মিউজিয়ামে জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্যদিয়ে সফরের কর্মসূচি শুরু হবে কংগ্রেস ম্যানদের। এদিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল প্রতিনিধিদের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ ও বৈঠক করবেন তারা।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে ওয়াশিংটনের সঙ্গে বিদ্যমান টানাপোড়েনের মধ্যেই ঢাকায় এসেছেন ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং রিপাবলিকান পার্টির সমন্বয়ে গড়া দুই সদস্যের মার্কিন কংগ্রেসনাল টিম।
রোববার সরকারের প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সোমবার (১৪ আগস্ট) তাদের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শনে কক্সবাজার যাওয়ার কথা রয়েছে।
জানা গেছে, হাওয়াই থেকে নির্বাচিত ডেমোক্রেট পার্টির কংগ্রেস সদস্য এড কেইস এবং জর্জিয়া থেকে নির্বাচিত রিপাবলিকান পার্টির কংগ্রেস সদস্য রিচার্ড ম্যাকরমিক মোট চার দিন বাংলাদেশে থাকবেন। ঢাকা সফরের সময় মার্কিন কংগ্রেসের দুই সদস্য আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাদাভাবে মতবিনিময় করবেন। এছাড়া তারা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলেও জানা গেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের জন্য সর্বোচ্চ আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই হিসেবে দুই কংগ্রেস সদস্য এখানে তাদের অর্থায়ন কীভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে তা দেখবেন। পাশাপাশি এখন যে আর্থিক সংকট চলছে, তার প্রেক্ষাপটে নতুন করে আর কী করার আছে সেটিও তারা দেখবেন।
কয়েক বছর ধরে মানবাধিকার ও সুশাসন নিয়ে ঢাকা ও ওয়াশিংটনের মধ্যে মতপার্থক্য চলে আসছে। গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাব এবং বাহিনীটির সাবেক ও বর্তমান সাত জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে অস্বস্তি তৈরি হয়। এ অবস্থায় গত মে মাসে বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রতিবন্ধকতাকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞার হুমকি সংবলিত স্বতন্ত্র ভিসা নীতি ঘোষণা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে. ব্লিনকেন। যা নিয়ে রাজনীতি এবং কূটনৈতিক অঙ্গনে রীতিমতো তোলপাড় চলছে।