শনিবার (৯ মার্চ) সকালে এক টিভি ভাষণে এ তথ্য জানান হুথিদের মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারে।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে গত নভেম্বর থেকে ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের জাহাজে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে হুথিরা।
যুক্তরাষ্ট্রের রণতরী লক্ষ্য করে চালানোর দাবি করে ইয়াহিয়া সারে বলেছেন, “লোহিত সাগর এবং আরব উপসাগরে ৩৭টি ড্রোন দিয়ে মার্কিন রণতরীতে হামলা চালিয়েছি আমরা।”
তবে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড শনিবার ভোরে দাবি করেছে, লোহিত সাগরে হুথিদের ছোড়া ১৫টি ড্রোন ধ্বংস করেছে তারা।
এ ব্যাপারে মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে সেন্ট্রাল কমান্ড বলেছে, “রাত ৪টা থেকে ৬টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত এডেন সাগর উপসাগর ও লোহিত সাগরে হুথিদের চালানো ড্রোন হামলার জবাব দেওয়া হয়েছে। এসব ড্রোন বাণিজ্যিক জাহাজ এবং জোট বাহিনীর জাহাজের জন্য হুমকিস্বরূপ ছিল।”
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার গত বুধবার জানান, আন্তর্জাতিক জাহাজে হামলার জন্য হুথিদের জবাবদিহিতায় আনা অব্যাহত থাকবে।
অপরদিকে হুথিরা জানিয়েছে, যতক্ষণ পর্যন্ত গাজায় হামলা বন্ধ না হবে এবং অবরোধ তুলে না নেওয়া হবে ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের হামলা অব্যাহত থাকবে।
গত ৭ অক্টোবর হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। এরপর ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে তারা গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা বন্ধের দাবি জানিয়ে গত নভেম্বর থেকে লোহিত সাগর ও আরব উপসাগরে বিভিন্ন জাহাজ লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে আসছে হুথিরা।
তাদের হামলায় গত সপ্তাহে ‘রুবিমার’ নামের যুক্তরাজ্যের একটি জাহাজ ডুবে যায়। এছাড়া হুথিদের হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানাধীন একটি জাহাজের তিন ক্রুও নিহত হন। তবে ওই ক্রুরা ফিলিপাইনের নাগরিক ছিলেন।