ঢাকা বোট ক্লাবে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজ নিতে সাভার মডেল থানায় এসেছিলেন ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমনি। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথোপকথন শেষে রোববার (২৭ জুন) সন্ধ্যা ৭টায় থানা থেকে বের হয়ে যান তিনি।
থানা থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পরীমনি বলেন, মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজ নিতেই থানায় আসি। যদিও আমার আরো আগে আসার কথা ছিলো। কিন্তু অসুস্থ থাকার কারণে একটু দেরিতে আসা হলো।
তার পাশে থাকার জন্য সাংবাদিকদের ধন্যবাদ দিয়ে তিনি বলেন, সবাই আমাকে অনেক সাপোর্ট দিয়েছে। আমি খুব খুশি। মিডিয়ার সহযোগিতার কারণেই পুলিশ আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করেছে এবং রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। দীর্ঘক্ষণ থানায় অবস্থানের বিষয়ে তিনি বলেন, ঘটনার দিনের সব কথা আমাকে খুলে বলতে হয়েছে। মামলার স্বার্থে তদন্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে লম্বা সময় কথোপকথনের মাধ্যমে সেদিনের বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে।
এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে একটি সাদা প্রাইভেটকারে সাভার মডেল থানায় আসেন চিত্রনায়িকা পরীমনি।পরে তিনি ঢাকা উত্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আব্দুল্লাহিল কাফীর কক্ষে প্রবেশ করেন। এদিকে থানায় চিত্রনায়িকা পরীমনির আগমনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয় এবং মূল ফটক আটকে দিয়ে সাংবাদিক প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
প্রসঙ্গত, ঢাকা বোট ক্লাবে গত ৯ জুন রাতে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন (নাসির ইউ) মাহমুদসহ কয়েকজনের দ্বারা ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন চিত্রনায়িকা পরীমনি।
১৪ জুন ঢাকার সাভার মডেল থানায় একটি মামলা করেন পরীমনি। এতে নাসির ও তার বন্ধু অমির নাম উল্লেখ করে চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। মামলার পরপরই রাজধানীর উত্তরা-১ নম্বর সেক্টরের-১২ নম্বর রোডের বাসা থেকে নাসির ও অমিসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।