ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ফুটপাতে বা ভ্যান গাড়িতে করে শাক-সবজি ও মাছ বিক্রি করে । প্রায় প্রতিটি আবাসিক এলাকা মহল্লায় এ ধরনের বাজার বসে। বিক্রেতাদের দোকান ভাড়া, পরিবহনসহ অন্যান্য খরচ কম থাকায় বাজারের থেকে কিছুটা কম দামে বিক্রি করতে পারেন তারা। আগে এসব ফুটপাতের দোকানে নিম্ন শ্রেণির মানুষদেরকে বেশি দেখা যেত। এখন মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্তদেরকেও এসব বাজারগুলোতে দেখা যাচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে— রাজধানীর মালিবাগ কাঁচাবাজারের পাশাপাশি বাজারের পূর্ব মাথায় ফুটপাতে বিক্রি হচ্ছে শাকসবজি ও মাছ। মাত্র কয়েকশ মিটারের দূরত্বে এখানে জিনিসপত্রের দাম তুলনামূলক বেশ কম। মালিবাগে ফুটপাতে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজির পসরা সাজিয়ে বসেছে ক্ষুদ্র বিক্রেতারা। এছাড়াও মহিলারা পেঁয়াজ, আদা, রসুনের ভাগা সাজিয়ে বসেছে। যা প্রতি ভাগা বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ৩০ টাকায়।
বাজার করতে আসা রুস্তম আলি বলেন, বাজারে সব কিছুরই তো এখন দাম বেশি। বাজারের থেকে এখানে দাম কিছুটা কম তাই এখান থেকেই নিয়মিত বাজার করি। আরেক নারী ক্রেতা বলেন, জিনিসপত্রের যে হারে দাম বাড়ছে আমাদের মতো মানুষদের দিন পার করা কষ্টকর হয়ে গেছে। যেখানে দুই পয়সা কমে পাই সেখান থেকে বাজার করি।
রাজধানীর উত্তর মুগদা ঝিলপার এলাকার ফুটপাতেও সকালে এই ধরনের বাজার বসতে দেখা যায়। সেখানেও বড় বাজারগুলো থেকে তুলনামূলক কম দামে বিক্রি হচ্ছে শাক-সবজি ও মাছ।
কয়েকশ মিটারের ব্যবধানে পূর্বপার্শ্বের ফুটপাতের দোকানে বিক্রি হচ্ছে— ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়, পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। শিম প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা। লাউ প্রতি পিস ৩০ থেকে ৪০ টাকা। লালশাকের আঁটি ১০ টাকা, পালংশাক হচ্ছে ১০ টাকায় আঁটি, দুই আঁটি একসঙ্গে নিলে ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়াও বাজারে গোল বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, যা ফুটপাতে বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩৫ টাকা। লম্বা বেগুন বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ফুটপাতে বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকা। মালিবাগের ফুটপাতের এক বিক্রেতা জানান, আমাদের দোকান ভাড়া নাই। বিদ্যুৎ বিল নাই। তাই কম দামে দিতে পারি।