নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, আজকে রিজার্ভ নেই। দুই তিন মাস আগে আমরা যখন এ কথা বলেছিলাম তখন তারা পারলে আমাকে মার দিত এমন অবস্থা। জিনিসপত্রে আগুন লেগে আছে। মানুষ আরামপ্রদ জীবন যাপন করতে পারছে না। মানুষ আজ পরিবর্তন চায়।
শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে গণতন্ত্র মঞ্চের আয়োজিত সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি। সরকার ও শাসন ব্যবস্থা পরিবর্তনে ঐক্যবদ্ধ হতে এবং রাজনৈতিক সভা সমাবেশে বাধা, হামলা-মামলা, দমন-পীড়ন, গুলি ও হত্যার প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে মান্না আরও বলেন, সমস্ত জিনিসের দাম বেশি। মানুষ ব্যাগভর্তি টাকা নিয়ে অর্ধেক ব্যাগ বাজার আনে। মাছ মাংস খাওয়া মানুষ প্রায় ছেড়ে দিয়েছে। ক্ষমতাসীনরা বলেছিল ১০ টাকা কেজি দরে চাল খাওয়াবে। আজ চালের দাম কত। এ সরকার মিথ্যুক। শেদ খান মেনন এ সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। তার বন্ধু আওয়ামী লীগের সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত বলেছিলেন আমরা ক্ষমতায় আছি এবং থাকব পারলে ঠেকান। গায়ের জোরে সরাতে হবে। আমরা তাদের সঙ্গে খেলতে চাই।
যখন ওবায়দুল কাদের বলে খেলা হবে। আসুন খেলব। আজ সভা ডাকলেই বিশাল জনসমাগম হয়। মানুষ চিড়া-গুড় নিয়ে তিনদিন আগে চলে যায়। এমন দৃশ্য কী আগে কখনও দেখেছেন? ক্ষমতায় যারা আছেন তারা এর উন্নতি ঘটাতে পারবে না। আমরা এগুলো পারবো পারতে হবে এ বিশ্বাসেই আমরা গণতন্ত্র মঞ্চ গঠন করেছি।
আমরা সরকার গঠন করলে প্রতিবছর ছয় কোটি মানুষকে প্রতি মাসে এক হাজার করে টাকা দেব। যে দেশের বাজেট সাত লক্ষ কোটি টাকা সে দেশে এটা কোন ব্যাপার না। আমাদের বড়লোকরা হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে। তিনি বলেন, আমরা কোনো চোর ডাকাতদের সঙ্গে ঐক্য করছি না। এ সরকারকে নামাতে সমস্ত জাতির ঐক্য আমরা চাই। আমরা সংবিধান সংশোধন করতে চাই। এখন ঐক্য করছি বড় শক্তি নিয়ে লড়াই করতে তবে গণতন্ত্রের স্বার্থে গণতন্ত্র মঞ্চ সারাদেশে সাংগঠনিক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম।